সংখ্যালঘু উইঘুরদের নিয়ে কানাডার আইনপ্রণেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে চীন। একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বক্তব্য দেয়াকে ‘অশোভন হস্তক্ষেপ’ বলে কানাডাকে সতর্ক করেছে দেশটি।
দুই দেশের মধ্যে চলমান কূটনৈতিক বিবাদের মধ্যে বৃহস্পতিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ সম্মেলনে এ সতর্কবার্তা দেয়।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে কানাডার একটি সংসদীয় কমিটি জানায়, শিনজিয়াং প্রদেশে জাতিগত উইঘুরদের বিরুদ্ধে চীনের কর্মকাণ্ড গণহত্যার পর্যায়ে পড়ে।
এ বিষয়ে সরকারের নীতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানায় কমিটি।
কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্যে এটা পরিষ্কার যে, উইঘুরদের সংস্কৃতি ও ধর্ম নির্মূল করতে চীনের সরকার সরাসরি চেষ্টা চালাচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান ওই কমিটির বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘মিথ্যা ও গুজবে ভরা’ কমিটির প্রতিবেদন।
ঝাও বলেন, দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও ক্ষতির সম্মুখীন যেন না হয়, সে জন্য কথা ও কাজে কানাডার সতর্ক হওয়া উচিত।
উইঘুরের বেশির ভাগ মানুষ তার্কিক মুসলমান। ইসলাম তাদের জীবন ও পরিচয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সংস্কৃতি ও জাতিগতভাবে তারা কেন্দ্রীয় এশিয়াভুক্ত দেশগুলোর পরিচয় বহন করে।
শিনজিয়াং প্রদেশের জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ উইঘুর ও ৪০ শতাংশ হান জনগোষ্ঠীর।
অঞ্চলটিতে ব্যাপকসংখ্যক সেনা মোতায়েন রেখেছে চীন। অনিবন্ধিত অভিবাসীরাও সেখানে বসবাস করছে।
শিনজিয়াংবাসী কালেভদ্রে স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতা ভোগ করেছে। অষ্টাদশ শতকে প্রদেশটি চীনের শাসনে চলে যায়।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান ও বিবিসি