দুর্নীতির অভিযোগে গণবিক্ষোভের মুখে পদত্যাগের এক বছর পর আবার লেবাননের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন সাদ হারিরি।
দেশটির ১২৮ সংসদ সদস্যের মধ্যে ৬৫ জন হারিরির পক্ষে ভোট দেয়ার পর বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন এ ঘোষণা দেন।
ঘোষণার পর সাংবাদিকদের হারিরি জানান, ফ্রান্সের পরিকল্পনা অনুযায়ী অর্থনৈতিক ও আর্থিক সংস্কার সংক্রান্ত আইন পাসে শিগগিরই সরকার গঠন করবেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘লেবাননের দুর্দশাগ্রস্ত জনগণের উদ্দেশে বলতে চাই, দেশের অর্থনীতি, সমাজ ও নিরাপত্তার ওপর নেমে আসা পতন ঠেকাতে আমি বদ্ধপরিকর।’
অর্থনীতি প্রবল সংকটে থাকায় গত বছর রাজনৈতিক ব্যবস্থা সম্পূর্ণ সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন লেবাননের মানুষ।
এরপর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও আগস্টে বৈরুতের ভয়াবহ বিস্ফোরণ দেশটির পরিস্থিতি আরও নাজুক করে।
আগস্টের বিস্ফোরণের জন্য অনেকেই লেবানন সরকারের অবহেলাকে দায়ী করে সমালোচনা করেন। ওই সমালোচনার জেরে হারিরির উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াবের পদত্যাগ ত্বরান্বিত হয়।
হাসান দিয়াবের পর দেশটির রাজনীতিক মুস্তাফা আদিব প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন পান। কিন্তু নির্দলীয় মন্ত্রিসভা গঠনে পর্যাপ্ত সমর্থন পেতে ব্যর্থ হওয়ায় গত মাসে তিনিও সরে দাঁড়ান।
বিলিয়ন ডলার আন্তর্জাতিক সহায়তার বিনিময়ে জরুরি সংস্কার বাস্তবায়ন ও দুর্নীতি দমনে লেবাননের রাজনীতিকদের একত্রে কাজ করার উদ্যোগ নেয় একসময়ের ঔপনিবেশিক রাষ্ট্র ফ্রান্স। কিন্তু মুস্তাফা আদিবের সরে যাওয়ায় ফ্রান্সের ওই উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত হয়।
লেবাননের শিয়া ইসলামপন্থি রাজনৈতিক ও সামরিক সংগঠন হিজবুল্লাহ প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী মনোনয়ন দিতে অস্বীকৃতি জানায়। তবে হারিরির নিয়োগ দেশে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করবে বলে মন্তব্য করেছে সংগঠনটি।
সূত্র: বিবিসি