প্রধানমন্ত্রী ও রাজতন্ত্র বিরোধী বিক্ষোভ দমনে জারি করা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে থাইল্যান্ড সরকার।
বৃহস্পতিবার এক প্রজ্ঞাপনে এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, যে ‘সহিংস পরিস্থিতির' কারণে ওই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল তা অনেকটাই শান্ত হয়ে এসেছে।
গত সপ্তাহে জারি করা ওই নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়েছিল চারজনের বেশি মানুষ একত্রিত হতে পারবেন না।
পরে সরকারবিরোধী আন্দোলন আরও তীব্র হয়ে ওঠে। হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ব্যাংককের সড়কগুলোতে অবস্থান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রায়ুত চান-ওচারের পদত্যাগ দাবি করতে থাকে।
বুধবার ক্ষমতা ছাড়ার জন্য তাকে তিন দিন সময় বেঁধে দেয় তারা। এর একদিন পরেই এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ঘোষণাটি এলো।
তবে বিক্ষোভকারীরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও রাজতন্ত্রের সংস্কার না হলে শনিবার তারা আবার রাস্তায় ফিরে আসবেন।
এদিকে বিক্ষোভকারীদের দাবি নিয়ে আগামী সোমবার পার্লামেন্টে আলোচনা করার কথা বলছে সরকার।
নির্বাচন, নতুন সংবিধান, রাজতন্ত্র সংস্কার ও ভিন্নমতের উপর দমনপীড়ন বন্ধের দাবিতে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তিন মাস ধরে আন্দোলন করছেন গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীরা।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান-ওচার নেতৃত্বে দেশটির সেনা সমর্থিত সরকার চলমান আন্দোলন দমাতে কঠোর পদক্ষেপ নিলেও বিক্ষোভের মাত্রা ক্রমাগত বাড়ছে।
সূত্র: বিবিসি