করোনাকালে পর্যটন ছাড়া সব ধরনের ভিসা চালু করল ভারত সরকার। তবে দেশটিতে প্রবেশের পর সরকারের জারি করা কোভিড বিধি মানতে হবে। কোয়ারেনটাইনে থাকতে হবে।
অর্থাৎ ব্যবসা, শিক্ষা, গবেষণা, চিকিৎসার জন্য এখন ভারত অন্য দেশের নাগরিকদেরকে স্বাগত জানাবে।
করোনা সংক্রমণের প্রাথমিক পর্বে ১১মার্চ থেকে বিদেশি নাগরিকদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল ভারত সরকার।
ঠিক ৭ মাস ১০দিন পর বিধিনিষেধ শিথিল করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায়, বিদেশি নাগরিক ও প্রবাসী ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ভারতে আসার এবং ভারতের বাইরে যাওয়ার বিধিনিষেধ তুলে দেয়া হয়েছে।
শুধুমাত্র ট্যুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে আগের নিয়মই বহাল রয়েছে। বাকিরা কর্মসূত্রে ভারতে আসার ছাড়পত্র পাবেন।
অর্থাৎ এখনই ঘুরতে যাওয়ার পর ভারতে যাওয়া যাবে না। তবে অন্য যে কোনও কাজে ভারতে আসতে পারবেন প্রবাসী (ওভারসিস সিটিজেন অফ ইন্ডিয়া), ভারতীয় বংশোদ্ভুত (পারসন অফ ইন্ডিয়ান অরিজিন) ও বিদেশিরা।
পড়াশোনা, চাকরি, চিকিৎসা, ব্যবসা, সম্মেলন, গবেষণার কাজে তাঁরা এদেশে আসতে পারবেন।
জল, স্থল বা আকাশ- তিন পথেই দুয়ার খুলল ভারত।
যাদের কাছে ইতিমধ্যে ভিসা রয়েছে, তাঁদের ভিসাও কার্যকর করা হবে। তবে ইলেক্ট্রনিক ভিসা, পর্যটন ভিসা, মেডিক্যাল ভিসা এই আওতায় পড়বে না।
গত এপ্রিলে আখাউড়া সীমান্তে ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় কিছু মানুষ। ফাইল ছবি
যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তারা ফের ভারতীয় দূতাবাসে ভিসার আবেদন করতে পারবেন।
এদেশে চিকিৎসার জন্য আসতে আগ্রহী বিদেশিরাও মেডিক্যাল ভিসার জন্য ফের আবেদন করতে পারবেন।
মার্চে সমস্ত রকম ভিসা দেয়া স্থগিত করার পর জুনে কিছু কিছু ভিসার ক্ষেত্রে নীতি শিথিল করে কেন্দ্র। যেমন বিদেশি নাবালকদের এদেশে আসার ভিসা দেয় সরকার।
অবশ্যই সেই নাবালকের একজন অভিভাবককে ভারতীয় নাগরিক বা ওভারসিস সিটিজেন অফ ইন্ডিয়া (ওসিআই) হতে হবে।
ভারতীয় নাগরিকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে, এমন বিদেশিদেরও আসার অনুমতি দেওয়া হয়। ওসিআই–দের জন্যও ছাড় ছিল।
ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় জানিয়েছে হয়েছে, ওএসআই,পিইও কার্ড হোল্ডার ও বিদেশি নাগরিকরা বিমান ও জাহাজের মাধ্যমে দেশে আসা ও যাওয়ার অনুমতি পাবেন। তবে দেশের বাইরে কেন যাচ্ছেন, বা বিদেশ থেকে ভারতে কেন আসছেন, তার সুনির্দিষ্ট কারণ দেখাতে হবে।