ভারতে বাঙালি বিদ্বেষ বাড়ছে। বিজেপির শাসনে চলছে ‘হিন্দু-হিন্দি-হিন্দুস্তান’ নীতির। এমনই অভিযোগ উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে।
মেঘালয় রাজ্যে সম্প্রতি খাসি ছাত্রদের বাঙালিবিরোধী বিক্ষোভ প্রকাশ্যে আসার পর ভারতে ফের বাঙালি বিদ্বেষের এই অভিযোগ আসে ।
মেঘালয় রাজ্যে বহু আগে থেকেই বাঙালি বিরোধী আন্দোলন চলছে। বাঙালিদের ওপর অত্যাচার বহুদিন ধরেই চলছে শিলং-সহ রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে।
খাসি ছাত্র সংগঠন (কেএসইউ) বুধবার প্রকাশ্যেই বাঙালিদের ‘বাংলাদেশি’ হিসেবে অভিহিত করে তাঁদের মেঘালয় ছাড়ার হুমকি দিয়েছে।
মেঘালয়ের প্রতিবেশী রাজ্য অসমেও ‘বিদেশি’ বা ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে বাঙালিদের হেনস্থা করার ইতিহাসও বহুদিনের। ।
অসমের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে প্রবেশের জন্য মেঘালয়ের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। অভিযোগ আছে, অসমের বাঙালিরাও মেঘালয় দিয়ে যাতায়াতের সময় নানারকম অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন।
অসম রাজ্য নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমন্বয় সমিতির চেয়ারম্যান ও অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য তপোধীর ভট্টাচার্য বলেন, ‘বাঙালিকে বিনাশ করার গভীর চক্রান্ত চলছে। গোটা দেশে হিন্দু-হিন্দি-হিন্দুস্তান নীতি চালুর জন্যই এই ষড়যন্ত্র।’
এর বিরুদ্ধে বাঙালিদের একজোট হওয়ার ডাক দেন তিনি। তপোধীর বলেন, ‘বাঙালির মধ্যে বিভেদ আনারা চেষ্টা চলছে। কিন্তু বাঙালি মানে বাঙালিই। হিন্দু বাঙালি বা মুসলিম বাঙালি বলে কিছু হয় না।’
ইদানীং ভারত সরকার নয়া শিক্ষানীতির নামে বাংলা ভাষার অমর্যাদা করছে বলেও অভিযোগ করেন তপোধীর ভট্টাচার্য।অসমের ‘আমরা বাঙালি’ সংগঠনের নেতা সাধন পুরকায়স্থের অভিযোগ, বিজেপিও বাঙালিদের সর্বনাশ করতে চাইছে। এনআরসি (নাগরিক পঞ্জীকরণ)-এর মাধ্যমে রাষ্ট্রও সেই সর্বনাশা কর্মকান্ডকে মদত দিচ্ছে। এটা খুবই দুঃখের।'
মেঘালয়ে বাঙালি বিদ্বেষে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মহিলা কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভানেত্রী সুস্মিতা দেব। তিনি ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়ে বাঙালিদের নিরাপত্তার দাবি তুলেছেন।