স্পেনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১০ লাখের বেশি মানুষ।
বুধবার দেশটিতে আক্রান্তের এ রেকর্ড হয়।
পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের তালিকার শীর্ষে রয়েছে স্পেন। দেশটিতে ৩১ জানুয়ারি থেকে বুধবার পর্যন্ত ১০ লাখ পাঁচ হাজার ২৯৫ জন করোনায় আক্রান্ত হন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৯৭৩ জন; মৃত্যু হয়েছে ১৫৬ জনের।
করোনায় আক্রান্ত দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ব্রাজিল, রাশিয়া ও আর্জেন্টিনার পর ষষ্ঠ অবস্থানে স্পেন।
গত কয়েক মাসে ইউরোপে নতুন করে করোনা সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। সংক্রমণ ও হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে কড়া বিধিনিষেধ আরোপে বাধ্য হয়েছে।
মহামারি শুরুর প্রথম দিকেই করোনা প্রবলভাবে আঘাত হানে স্পেনে। ওই সময় প্রাদুর্ভাব কমাতে শিশুদের ঘরের বাইরে বের হওয়া নিষিদ্ধসহ বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয় দেশটিকে।
পরে ইউরোপের অন্য দেশের মতো স্পেনেও করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় কড়াকড়ি শিথিল করা হয়। করোনাসৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় দেশটিতে পর্যটকদের ভ্রমণ আবার চালু করার ওপর জোর দেন রাজনীতিকরা।
কিন্তু আগস্টের শেষের দিকে করোনা সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করে স্পেনে। প্রতিদিন ১০ হাজার মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
শুধু গত দুই সপ্তাহে দেশটিতে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর হার ২০ শতাংশ বেড়ে গেছে। মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে।
করোনায় স্পেনে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩৪ হাজার ৩৬৬ জনের।
বিদ্যমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ নিয়ে বিভক্ত স্পেনের নীতিনির্ধারকরা।
এ সংক্রান্ত বিতর্কে বুধবার কট্টর ডানপন্থি ভক্স পার্টি দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে বারবার বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছে।
সূত্র: বিবিসি