নাইজেরিয়ার বৃহত্তম শহর লাগোসে ‘পুলিশের সহিংসতার’ বিরুদ্ধে চলমান এক বিক্ষোভে গুলির পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
বুধবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার সেনাবাহিনীর সদস্যদের গুলিতে ‘বহু লোক হতাহত’ হওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এর প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বেশ কিছু এলাকায় ভবনে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। সরকারদলীয় এক নেতার মালিকানাধীন টেলিভিশন চ্যানেলের ভবনে পেট্রল বোমা দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
চলমান এই বিক্ষোভ দমনে লাগোস শহরসহ আশেপাশের এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, লাগোসের লেক্কি এলাকায় বিক্ষোভ দমনে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করা হয়েছে এবং এতে কয়েকজনের প্রাণহানি হওয়ার প্রমাণ তাদের কাছে আছে।
একজন বিক্ষোভকারীর নিহত হওয়ার ও ২৫ জনের আহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন প্রদেশটির গভর্নর।
তবে দেশটির সেনাবাহিনী এই অভিযোগ অস্বীকার করে বেশ কয়েকটি টুইট বার্তায় একে ‘ভুয়া খবর’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
নাইজেরিয়ার পুলিশ বাহিনীর এন্টি রবারি স্কোয়াডের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে আটক, নির্যাতন ও গুলিবর্ষণের অভিযোগ তুলে এই ইউনিট বিলুপ্তসহ পুরো বাহিনীর সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন বিক্ষোভকারীরা।
দুই সপ্তাহের বিক্ষোভের পর ১১ অক্টোবর প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি শুধু বিশেষ ইউনিটটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। তাই দেশজুড়ে চলছে বিক্ষোভ।