ক্ষতিপূরণের বিনিময়ে সন্ত্রাসী পৃষ্ঠপোষকতাকারী রাষ্ট্রের তালিকা থেকে সুদানের নাম সরিয়ে ফেলার অঙ্গীকার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
স্থানীয় সময় সোমবার তিনি এ অঙ্গীকার করেন।
ট্রাম্প টুইটবার্তায় বলেন, ‘সুদানের নতুন সরকার উন্নতি করছে। সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের পরিবারকে ৩৩৫ মিলিয়ন ডলার দিতে সম্মত হয়েছে দেশটি।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষতিপূরণ পেলেই সন্ত্রাসী তালিকা থেকে সুদানের নাম তুলে নেয়া হবে।’
দেশটির প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামদক ট্রাম্পের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
তিনি এক টুইটবার্তায় বলেন, ‘স্বৈরাচারী শাসন থেকে মুক্ত হয়ে আবারও আমরা জানান দিতে চাই যে, সুদানের জনগণ শান্তিপ্রিয় মানুষ। তারা কখনোই সন্ত্রাসের পক্ষে ছিল না।’
যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগের ফলে চলমান অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে আশা করছে সুদান।
১৯৯৮ সালে কেনিয়া ও তানজানিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে আল কায়েদা বোমা হামলা চালায়। ওই ঘটনায় ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত ও চার হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হন।
সুদানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির ওই হামলাকারীদের প্রশ্রয় দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
গত বছর কয়েক মাস ধরে চলা বিক্ষোভের পর দেশটির সেনাবাহিনী বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করে।
১৯৯৩ সালে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় সুদানের নাম। ইরান, সিরিয়া, উত্তর কোরিয়াও এই তালিকায় আছে।
সন্ত্রাসী তালিকায় অন্তর্ভুক্তির ফলে বিদেশি সাহায্য থেকে বঞ্চিত হয় সুদান।
সূত্র: দ্য ন্যাশনাল