নারী পাচারের অভিযোগে হায়দরাবাদে করা মামলায় নয় বাংলাদেশিসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)।
সোমবার মুম্বাই মিররের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এনআইএ জানায়, অভিযুক্তরা অপরাধী চক্রের সঙ্গে জড়িত। দরিদ্র বাংলাদেশি তরুণীদের ভালো চাকরি ও উন্নত জীবনের লোভ দেখিয়ে তারা ভারতে আনে। তাদের ভুয়া ভারতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে যৌনপল্লিতে যেতে বাধ্য করা হয়।
সংস্থাটি আরও জানায়, অভিযুক্ত ১২ জন দরিদ্র পরিবারের ১৯ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণীদের পাচার করে।
পশ্চিমবঙ্গের সোনাই নদী পার করে ওই তরুণীদের বাংলাদেশ থেকে ভারতের মুম্বাই, হায়দরাবাদসহ অন্যান্য শহরে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানায় এনআইএ।
অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়েছে হায়দরাবাদের আদালতে। তাদের বিচারিক হেফাজতে রাখা হয়েছে।
চার তরুণীকে যৌনপল্লি থেকে উদ্ধার করে হায়দরাবাদের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
অভিযুক্তদের বাড়ি তল্লাশি করে বেশ কয়েকটি ডিভাইস, ভুয়া ভারতীয় পরিচয়পত্র ও অন্য কিছু সামগ্রী জব্দ করা হয়।
এনআইএ জানায়, গ্রেফতারকৃতরা রুহুল ঢালি ও আবদুল বারিক শেখের সহযোগী। তারা বাংলাদেশ থেকে ভারত ও ভারত থেকে বাংলাদেশে নারী পাচারে জড়িত।
গত বছরের ডিসেম্বরে অন্য একটি মামলায় ঢালিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।