পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করেও এবার রাজনৈতিক লড়াই জমজমাট। বিজেপি সরাসরি এবার দুর্গাপূজা করছে। পিছিয়ে নেই ক্ষমতাসীন তৃণমূলও। বেনামে কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের কর্মীরাও মেতে উঠেছেন দুর্গাপূজায়।
২০২১ সালের এপ্রিল-মে মাসে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার ভোট। শাসক দল তৃণমূলকে হারাতে এবার মরিয়া বিজেপি। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতাও বিনা লড়াইয়ে ছাড় দিতে চান না। তাই পশ্চিমবঙ্গে লড়াই এবার জমজমাট।
ভোটের অনেক আগে থেকেই তার আভাস মিলছে। কলকাতার সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজাতেও লেগেছে ভোটের আগাম উত্তাপ।
পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিজেপির ব্যানারে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হচ্ছে। এর আগে কোনো রাজনৈতিক দলই পূজার আয়োজন করেনি। বিভিন্ন দলের নেতা-মন্ত্রীরা অবশ্য পূজার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকেন।
সরকারি মঞ্চ ভাড়া নিয়ে বিজেপির এই পূজার ভার্চুয়াল উদ্বোধন করবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পূজার চার দিন দেবী বন্দনার পাশাপাশি থাকছে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও বন্দোবস্ত।
পিছিয়ে নেই তৃণমূল কংগ্রেসও। তাদের দলের নেতা ও মন্ত্রীরা অনেকেই যুক্ত কলকাতার নামী পূজা কমিটির সঙ্গে। জনসংযোগের এমন সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ তারা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা এবার পূজা কমিটির উদ্যোক্তাদের ৫০ হাজার রুপি করে অনুদান দিয়েছেন। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ বিলের ছাড় থেকে শুরু করে অন্যান্য সুবিধাও পাচ্ছেন তারা।
মমতার এই অনুদান নিয়ে অবশ্য বিতর্ক শুরু হয়েছে। মামলাও গড়েছে হাই কোর্টে।
হাই কোর্টের নির্দেশ, অনুদানের টাকায় মাস্ক, স্যানিটাইজার বা কল্যাণমূলক কাজে খরচ করতে হবে।
কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গ ইতিমধ্যেই মেতে উঠেছে দুর্গাপূজায়। করোনাকালে দূরত্ববিধি মেনে পূজার উদ্বোধন ও ঠাকুর দেখার পালা চলছে সন্ধ্যা নামতেই। তবে সতর্কতাও নেওয়া হচ্ছে সর্বত্র।