হামলায় নিহত স্কুলশিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটির স্মরণে ফ্রান্সজুড়ে আয়োজিত সমাবেশে অংশ নিয়েছেন হাজারো মানুষ।
স্থানীয় সময় রোববার দেশটির রাজধানী প্যারিসের প্লাস দু লা রেপিউবলিক চত্বরে জড়ো হয়ে ‘আমি শিক্ষক’ স্লোগান দেন তারা।
শুক্রবার বিকেলে নিজের স্কুলের কাছেই স্যামুয়েলকে (৪৭) ছুরি দিয়ে শিরচ্ছেদ করেন আবদৌলাখ নামের এক ব্যক্তি। ঘটনার পরপরই পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় তার।
ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী র ক্যাসটেক্স ও প্যারিসের মেয়র অ্যানি ইদালগো প্লাস দু লা রেপিউবলিকের সমাবেশে যোগ দেন।
‘প্রজাতন্ত্রের সব শত্রুর প্রতি জিরো টলারেন্স’ বা ‘আমি অধ্যাপক; স্যামুয়েল, তোমাকে ভাবছি’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে সমাবেশে অংশ নেন দুই ব্যক্তি।
সমাবেশে জাতীয় সংগীত বাজানোর পর এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী ক্যাসটেক্স এক টুইটবার্তায় বলেন, ‘তোমরা আমাদের ভয় দেখাতে পারবে না। আমরাই ফ্রান্স।’
শিক্ষামন্ত্রী র-মিশেল ব্লনকে জানান, ঐক্যবদ্ধ হলে গণতন্ত্রের শত্রুদের পরাজিত করতে সফল হবে ফ্রান্স। ফ্রান্সের সব শিক্ষকের নিরাপত্তা প্রয়োজন।
শেল এলাকা থেকে আসা নাথালি নামের এক শিক্ষক জানান, সমাবেশে তিনি অংশ নিয়েছেন এ কারণে যে, তার মনে হয়েছে পাঠদানের কারণে শিক্ষকদের মৃত্যু হতে পারে।
‘আমি স্যামুয়েল’ লেখা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে ফ্রান্সের লিল্লা শহরে সমাবেশ হয়। এ ছাড়া লিওন শহরের প্লাস বেলকুওর চত্বর ও নট শহরে হাজারো মানুষ স্যামুয়েলের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
তুলুজ, স্ত্রাসবু, মারসে, বোডো শহরেও নিহত স্কুলশিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
আগামী বুধবার জাতীয়ভাবে স্যামুয়েলের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
শনিবার বোডো শহরের একটি মসজিদের ইমাম তারেক আউব্রো বলেন, ‘সভ্যতা নিরপরাধকে হত্যা করতে পারে না, বর্বরতা পারে।’
হত্যাকাণ্ডের পরপরই আবদৌলাখের চার স্বজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার স্কুলটির এক শিক্ষার্থীর বাবা, ধর্ম প্রচারকসহ ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়।
ওই ধর্মপ্রচারককে ‘উগ্র ইসলামপন্থি’ হিসেবে উল্লেখ করে ফরাসি গণমাধ্যম।
দেশটির কর্তৃপক্ষ জানায়, চলতি মাসের শুরুতে মহানবী হজরত মোহাম্মদকে (সা.) নিয়ে আঁকা কার্টুন শিক্ষার্থীদের দেখান স্যামুয়েল।
সূত্র: বিবিসি