প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে পাকিস্তানের বিরোধী দলের হাজারো নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
স্থানীয় সময় রোববার দেশটির করাচি শহরে সমাবেশে অংশ নেন তারা।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে দেশটির সেনাবাহিনী ইমরান খানকে ক্ষমতায় বসিয়েছে।
দেশজুড়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন বেগমান করতে গত মাসে পাকিস্তানের প্রধান নয়টি বিরোধী দল পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) নামে একটি যৌথ প্ল্যাটফরম গঠন করে।
সমাবেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মেয়ে ও পাকিস্তান মুসলিম লীগের নেতা মরিয়ম নওয়াজ বলেন, ‘আপনি (ইমরান) জনগণের জীবিকা ছিনিয়ে নিয়েছেন। তাদের দুই বেলা খাওয়ার অধিকারও কেড়ে নিয়েছেন।’
দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো বলেন, ‘আমাদের কৃষকেরা অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। যুবসমাজ আজ হতাশ।’
ক্রান্তিকাল পার করছে পাকিস্তানের অর্থনীতি। দেশটিতে দুই সংখ্যার মূল্যস্ফীতি ও নিম্নমুখী প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের ছোবল।
এমন বাস্তবতায় ইমরানকে গদিচ্যুত করতে একাট্টা বিরোধী দলগুলো।
পাকিস্তানে ইমরান খান সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দমনে পুলিশের অবস্থান। ছবি: এপি
বিরোধীদের অভিযোগ, ক্ষমতায় আসার পর গত দুই বছরে ইমরান খান ভিন্ন মতাবলম্বী, সমালোচক ও বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন বাড়িয়েছেন।
করাচির বিক্ষোভে অংশ নেয়া ৬৩ বছর বয়সী ফাকির বালুচ বলেন, ‘অস্বাভাবিক মূল্যস্ফীতি দরিদ্রদের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে। সন্তানদের খাওয়াতে ভিক্ষা করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। এই সরকার বিদায়ের এখনই সঠিক সময়।’
সমাবেশে ফাকিরসহ অংশগ্রহণকারী সবাইকে ‘যাও ইমরান, যাও’ স্লোগান দিতে দেখা যায়।
২০২৩ সালে পাকিস্তানে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
শুক্রবার দেশটির পাঞ্জাবের গুজরানওয়ালা শহরে সমাবেশ করে পিডিএম। ইমরান খান ক্ষমতায় আসার পর এটিই সবচেয়ে বড় সমাবেশ।
সূত্র: রয়টার্স