যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা সত্ত্বেও ইরানের ওপর বিতর্কিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়েছে। এর ফলে অস্ত্র কেনাবেচায় কোনো বাধা রইল না দেশটির।
স্থানীয় সময় রোববার নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দেয়া নিষেধাজ্ঞাটি ১৩ বছর ধরে চলছিল।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জয়েন্ট কম্প্রেহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশনের (জেসিপিওএ) ২২৩১ নম্বর প্রস্তাবের অংশ হিসেবে রোববার অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রসহ বৈশ্বিক পরাশক্তিগুলোর সঙ্গে জেসিপিওএ স্বাক্ষর করে ইরান। ওই চুক্তিতে বলা হয়েছিল, পারমাণবিক কার্যক্রম খর্ব করার বিনিময়ে ইরানের ওপর থেকে অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আজ (রোববার) থেকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের ওপর আরোপিত অস্ত্র হস্তান্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড ও অর্থনৈতিক সেবা সংক্রান্ত সব নিষেধাজ্ঞা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অকার্যকর।’
নিষেধাজ্ঞা অকার্যকর বলতে বোঝায়, এখন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র, হেলিকপ্টার, ট্যাংকসহ সব ধরনের প্রচলিত অস্ত্র বৈধভাবে কিনতে ও বেচতে পারবে ইরান।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, সম্পূর্ণভাবে আত্মরক্ষার্থে কোনো ধরনের আইনি বিধিনিষেধ ছাড়াই যেকোনো দেশ থেকে ইরান প্রয়োজনীয় অস্ত্র ও সরঞ্জাম আনতে পারবে।
প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ইরান স্বনির্ভর জানিয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অপ্রচলিত অস্ত্র, গণবিধ্বংসী অস্ত্র ও অযথা অস্ত্র কেনা ইরানের নীতিবিরুদ্ধ।
২০১৮ সালে একতরফাভাবে জেসিপিওএ থেকে সরে যায় যুক্তরাষ্ট্র, একইসঙ্গে ইরানের ওপর কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করে।
সূত্র: আল জাজিরা