করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাক্কা সামলাতে জারি করা কারফিউ কঠোরভাবে মানা হচ্ছে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসসহ নয় শহরে।
স্থানীয় সময় শনিবার রাতে শহরগুলোর রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকতে দেখা যায়।
বুধবার রাতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ নয় শহরে কারফিউর ঘোষণা দেন।
তিনি জানান, কারফিউ শনিবার রাত নয়টা থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত চার সপ্তাহ চলবে।
প্যারিস, মারসেই, লিয়ন, লিল্লা, তুলুজিসহ নয়টি শহরের দুই কোটি বাসিন্দাকে কারফিউ মেনে চলতে হবে।
এদিকে কারফিউর প্রভাব ব্যবসা-বাণিজ্যে পড়বে বলে মনে করছেন অনেকে।
প্যারিসের ইতালিয়ান রেস্তোরাঁ বিয়াঙ্কোর ম্যানেজার স্তেফানো আনসেলমো বলেন, ‘নিশ্চিতভাবেই রেস্তোরাঁর কর্মচারীরা চাকরি হারাবেন। অনেক রেস্তোরাঁ দেউলিয়া হবে। এটা এক ধরনের বিপর্যয়।’
ইউরোপের অন্য দেশগুলোর মতো ফ্রান্সও করোনা পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করছে। সংক্রমণ ঠেকানো, প্রথম ধাক্কায় বিপর্যস্ত স্বাস্থ্যব্যবস্থা স্বাভাবিক করা, ২.৩ ট্রিলিয়ন ইউরোর অর্থনীতি সচল রাখা ও মানুষের জীবিকা সুরক্ষিত রাখতে দেশটিকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
২২ বছর বয়সী আইনের ছাত্র বাস্তিয়ান বলেন, ‘কারফিউ ঘোষণার ফলে রেস্তোরাঁগুলো ক্ষতির মুখে পড়বে, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু জনস্বাস্থ্য ও অর্থনীতির মধ্যে ভারসাম্য রাখতে এটা প্রয়োজন।’
ফ্রান্সের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, শনিবার দেশটিতে রেকর্ডসংখ্যক ৩২ হাজার ৪২৭ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগের দিন শনাক্তের সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার ৮৬।
সূত্র: বিবিসি ও রয়টার্স