ভালো ফসলের আশায় গোটা অসম রাজ্য মেতে উঠেছে কাঙালি বিহু উৎসবে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালও এই উৎসবে মেতে উঠেছেন।
শনিবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে অসমিয়াদের এই প্রাণের উৎসব।
বিহু উৎসব হচ্ছে অসমের জাতীয় উৎসব। মূলত কৃষিভিত্তিক জীবিকাকে কেন্দ্র করে এই বিহু উৎসব পালিত হয়। এখন কৃষি একমাত্র জীবিকা না হলেও অসমিয়ারা ভোলেননি তাদের প্রাণের উৎসবকে।
বিহু উৎসব বছরে তিনবার পালিত হয়। সবচেয়ে বড় করে হয় পয়লা বৈশাখের সময় ‘রঙালি বিহু।‘ এটা হচ্ছে আনন্দের উৎসব। নাচ-গানই এর মুখ্য বিষয়। এই উৎসবে কৃষকেরা ধান উৎপাদনের জন্য জমি প্রস্তুত করেন।
এরপর কার্তিক মাসে উদযাপিত হয় কাঙালি বিহু উৎসব। এ সময় মাঠ ভরে থাকে ফসলে। কিন্তু পকেট থাকে ফাঁকা। ফসল ঘরে তোলা নিয়ে আতঙ্ক থেকে কাঙালি বা ভিখারি মন মেতে ওঠে ঈশ্বরের আরাধনায়। সেইসঙ্গে গোটা কার্তিক মাস ধরেই পূর্ব পুরুষদের উদ্দেশে 'আকাশবাতি' জ্বালান অসমিয়ারা।
অসমিয়া ক্যালেন্ডার অনুযায়ী রোববার ১ কার্তিক। তাই শনিবার রাত থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে লক্ষ্মীর আরাধনা।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল মঙ্গলদৈ জেলার মনপুর পাথারে কাঙালি বিহু উৎসবে যোগ দেন। সেখানে বিশাল ধান ক্ষেতের মধ্যে নাচের ছন্দে কোমর দোলাতে দেখা গেছে তাকে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন,'রাজ্যবাসীর সুখ ও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে কাঙালি বিহু।' কোভিড পরিস্থিতিতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকলকে বিহু উৎসব পালনের আহবান জানান তিনি।