যুদ্ধবিরতির কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিরোধপূর্ণ নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে আবার সংঘর্ষে জড়িয়েছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান।
দেশ দুইটির সম্মতির ভিত্তিতে স্থানীয় সময় শনিবার মধ্যরাত থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুদ্ধবিরতি ভঙের জন্য আজানবাইজানকে দায়ী করে আর্মেনিয়া।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শুশান স্তেপেনিয়ন এক টুইটবার্তায় বলেন, ‘শনিবার রাত ১২টা ৪ মিনিট থেকে পৌনে ৩টা পর্যন্ত শত্রুপক্ষ (আজারবাইজান) নাগোরনো-কারাবাখের উত্তরাঞ্চলে গোলাবর্ষণ করে ও রাত ২টা ২০ মিনিট থেকে পৌনে ৩টা পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলে রকেট নিক্ষেপ করে।’
আজারবাইজান এই অভিযোগের বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
এর আগে শনিবার ভোরে আজারবাইজানের গানজা শহরে আর্মেনিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৩ বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৪৫ জন আহত হন। এ ঘটনায় আজারবাইজান আর্মেনিয়াকে দায়ী করে।
নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু জাতিগত আর্মেনিয়ানরা ওই অঞ্চলে সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় কয়েক দশক ধরে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ চলছে।
আজারবাইজানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের বিবৃতির ভিত্তিতে শনিবার যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত হয়।
নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে চলমান সংঘর্ষ মধ্যস্থতার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও রাশিয়া ১৯৯২ সালে ওএসসিই মিনস্ক গ্রুপ নামে একটি কমিটি গঠন করে।
নাগোরনো-কারাবাখ সম্পর্কিত কিছু তথ্য
• নাগোরনো-কারাবাখ এক হাজার ৭০০ বর্গমাইলের একটি পাহাড়ি অঞ্চল
• খ্রিস্টান আর্মেনিয়ান ও মুসলমান তুর্কিরা এর আদি বাসিন্দা
• সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় আজারবাইজান প্রজাতন্ত্রের মধ্যে অঞ্চলটি স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা পায়
• আজারবাইজানের অংশ হলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ জাতিগতভাবে আর্মেনিয়ান
• ১৯৮৮-১৯৯৪ সালের যুদ্ধে ৩০ হাজার নিহত ও দশ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়
• ১৯৯০ সালের যুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা আজারবাইজানের কয়েকটি এলাকা দখল করে
• ১৯৯৪ সালের যুদ্ধবিরতির পর থেকে অচলাবস্থা চলছে
• তুরস্ক প্রকাশ্যে আজারবাইজানকে সমর্থন করে
• আর্মেনিয়ায় রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি রয়েছে
সূত্র: বিবিসি