করোনাভাইরাসের মধ্যে নিউজিল্যান্ডে শুরু হয়েছে ৫৩তম সাধারণ নির্বাচনের ভোট।
স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ৯টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। শেষ হবে সন্ধ্যা ৭টায়।
লেবার পার্টির নেতা ও নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন ও রক্ষণশীল ন্যাশনাল পার্টি ও বিরোধী দলের নেতা জুডিথ কলিনস দেশটির সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মতামত জরিপে দেখা যায়, জেসিন্ডা দ্বিতীয়বারের মতো দেশটির প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। করোনা মহামারি সফলভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হওয়া এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে।
তবে সংসদে জেসিন্ডার দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারবে কি না, তা এখনো বলা যাচ্ছে না।
নিউজিল্যান্ডে ১৯৯৬ সালে নতুন সংসদীয় ব্যবস্থা মিক্সড মেম্বার প্রোপরশনাল রেপ্রিজেন্টেশন (এমএমপি) বাস্তবায়নের পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সংসদ গঠন করতে পারেনি।
দেশটির প্রায় ৩৫ লাখ ভোটারের মধ্যে ১৭ লাখেরও বেশি আগাম ভোট দিয়েছেন। ৩ অক্টোবর থেকে আগাম ভোট শুরু হয়।
নির্বাচনের দিন প্রার্থীদের পোস্টার, টেলিভিশন ও রেডিও থেকে নির্বাচনি বিজ্ঞাপন সরিয়ে ফেলাসহ সব ধরনের প্রচার বন্ধের নির্দেশ আগেই দেয়া হয়। ভোট পরবর্তী জরিপ পরিচালনাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সন্ধ্যা ৭টায় নির্বাচন কমিশন প্রাথমিকভাবে ফল ঘোষণা শুরু করবে। রাত ১০টার মধ্যে ৫০ শতাংশ ভোট গণনা ও রাত সাড়ে ১১টার মধ্যে ১০০ শতাংশ ভোট গণণা শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কমিশন।
প্রবাসী ও নিজের নির্বাচনি এলাকার বাইরে থেকে যারা ভোট দেবেন, তাদের ভোটসহ বিশেষ ভোটের ফল ৬ নভেম্বরের আগে প্রকাশ করা হবে না।
ইউথেনেসিয়া (দুরারোগ্য ও যন্ত্রণাদায়ক রোগ থেকে মুক্তির জন্য যন্ত্রণা ছাড়াই রোগীকে মেরে ফেলা) ও গাঁজা সেবন বৈধ করতে নিউজিল্যান্ডবাসী গণভোট দেবেন। এটা হলে উরুগুয়ে ও কানাডার পর নিউজিল্যান্ড হবে তৃতীয় দেশ যেখানে দেশজুড়ে বয়স্করা গাঁজা সেবন ও বিক্রি করতে পারবেন।
এই গণভোটের ফলাফল ৩০ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান ও বিবিসি