মিয়ানমারে শিশু হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
বুধবার এক বিবৃতিতে মিয়ানমারে জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থাগুলো এ উদ্বেগ প্রকাশ করে।
মিয়ানমারের পশ্চিম উপকূলীয় রাজ্য রাখাইনে চলতি মাসের শুরুতে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে দুই শিশু নিহত হয়।
সংস্থাগুলো এ ঘটনার পূর্ণ, স্বচ্ছ ও দ্রুত তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। তাদের দাবি, শিশুদের ব্যবহার ও হত্যার জন্য যেই জড়িত থাকুক না কেন, তাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
তাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই গুরুতর ঘটনাটি স্মরণ করিয়ে দেয় যে, শিশুরা যখনই কোনো কার্যক্রমে সশস্ত্র বাহিনী ও গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাদের নির্বিচারে হত্যা বা আহত হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে রাখা হয়।’
৫ অক্টোবর ‘তাতমাদা’ নামে পরিচিত মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে দুই শিশুর মৃত্যু হয়।
জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই ঘটনায় আমরা দুঃখিত ও শোকাহত এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’
ওই শিশুরা স্থানীয় কৃষকদের প্রায় ১৫ জনের একটি দলের অংশ ছিল। শত্রুদের সম্ভাব্য আক্রমণ থেকে রক্ষায় তাদের সবাইকে সামরিক শিবিরের দিকে তাতমাদা ইউনিটের সামনে হাঁটতে বাধ্য করা হয়েছিল।
পরে তাতমাদা ও আরাকান আর্মির মধ্যে লড়াই শুরু হয়। ওই সময় গুলিবিদ্ধ হয় শিশুরা।
সূত্র: ইউএনবি