পাঁচ বা ততধিক মানুষের জমায়েত ও ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর’ সংবাদ প্রকাশ বা অনলাইন ম্যাসেজ নিষিদ্ধ করে ডিক্রি জারি করেছে থাইল্যান্ড সরকার।
দেশটির রাজধানী ব্যাংককের রাস্তায় প্রতিবাদ বন্ধে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে এ ডিক্রি জারি করা হয়।
বুধবার হাজার হাজার বিক্ষোভকারী প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান-ওচার পদত্যাগের দাবিতে তার কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়।
থাই ল’ইয়ার্স ফর হিউম্যান রাইটস নামের একটি সংস্থা জানায়, ভোর পাঁচটায় সরকারবিরোধী নেতা আরনন নামপা ও পানুপং জাদনককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
বার্তা সংস্থা এপির বরাত দিয়ে দ্য গার্ডিয়ান জানায়, সব মিলে ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে আলোচিত বিরোধী নেতা পারিত ‘পেঙ্গুইন’ চিওয়ারাকও আছেন।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক ঘোষণায় বলা হয়, শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে চলমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা অপরিহার্য হয়ে পড়ে।
ঘোষণায় আরও বলা হয়, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা থেকে বড় ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ। অন্য এলাকায় লোকজনের প্রবেশের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
গত তিন মাস ধরে থাইল্যান্ডে সরকাবিরোধী বিক্ষোভ চলছে।
দেশটির সরকার-সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে এক দশক ধরে চলতে থাকা সহিংসতা নিরসনের লক্ষ্যে ২০১৪ সালে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসেন প্রায়ুত।
সাম্প্রতিক বিক্ষোভে সরকারবিরোধীরা নতুন সংবিধানের দাবি জানান। একই সঙ্গে দেশটির রাজা মাহা বাজিরালংকর্নের ক্ষমতা কমানোরও দাবি জানিয়ে আসছেন তারা।