তানজানিয়া সরকার নির্বাচনের আগে গণমাধ্যম, বিরোধী দল ও সুশীল সমাজের ওপর দমন-পীড়ন বাড়িয়েছে বলে দাবি করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
সোমবার এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটি।
২৮ অক্টোবর তানজানিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় যেতে দেশটির প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলি বিরোধীদের দমন করছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, গত কয়েক মাসে সবচেয়ে বেশি নিপীড়নের শিকার হয় গণমাধ্যম।
আইন ও পেশাগত নীতি ভঙের অভিযোগে ২৩ জুন তানজানিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম সংবাদপত্র ‘তানজানিয়া দাইমা’কে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। পত্রিকাটির মালিক বিরোধী দলের নেতা ফ্রিম্যান এমবাও।
জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে পাঠানো করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সতর্কতা সম্প্রচারের দায়ে ‘কোয়ানজা টিভি’কে ১১ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করে দেশটির যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সংকুচিত করা হয়েছে। এ জন্য বিদ্যমান আইন সংশোধন করা হয়েছে।
সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে, সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক রেডিও ও টিভি চ্যানেলকে যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। এ জন্য তাদের লাইসেন্সধারী স্থানীয় সহযোগী থাকতে হবে।
বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, নির্বাচনের মাত্র দুই সপ্তাহ আগে তাদের কয়েকশ নেতার প্রার্থিতা অন্যায়ভাবে বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া ভোট প্রদানে সক্ষম ব্যক্তিদের ভোটার আইডি কার্ড দিতে অনিচ্ছুক জাঞ্জিবার নির্বাচন কমিশন।
এর আগে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানায়, পাঁচ বছর আগে মাগুফুলি ক্ষমতায় আসার পর থেকে তানজানিয়ার গণতান্ত্রিক পরিসর সংকুচিত হতে থাকে।
মাগুফুলির স্বৈরাচারী কর্মকাণ্ড দ্রুতই জনসমক্ষে প্রকাশ হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
মাগুফুলির ‘পার্টি অফ দ্য রেভ্যুলুশন’ সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। রাজনীতি ও সমাজে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তার প্রশাসন বেশ কয়েকটি দমনমূলক আইন পাস করে।
সূত্র: দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট