জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের সদস্য পদে প্রার্থীতা পেয়েছে চীন, রাশিয়া ও সৌদি আরব। তবে দেশগুলোকে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী’ হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রার্থীতা দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।
মানবাধিকার নিয়ে বিশ্বব্যাপী কাজ করা সংস্থাগুলোর দাবি, এই দেশগুলো ‘সবচেয়ে খারাপ মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী’।
জাতিসংঘের সর্বোচ্চ মানবাধিকার সংস্থাটির ৪৭ দেশের কাউন্সিলে খালি হওয়া ১৫টি পদে মঙ্গলবার নির্বাচন হওয়ার কথা। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ভোটে নির্বাচিত হলে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে তিন বছরের জন্য দায়িত্ব পাবে রাষ্ট্রগুলো।
জাতিসংঘের এ সিদ্ধান্তের আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, ‘কাউন্সিলে নিযাতনকারীদের উপস্থিতি সংস্থাটির বৈধতার লঙ্ঘন ও নিজস্ব সনদ বিরোধী।’
সংস্থাটির পরিচালক লুইস কার্বানেও বলেন, ‘ক্রমাগত মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের কোনোভাবেই কাউন্সিলের সদস্য বানিয়ে পুরস্কৃত করা উচিত হবে না। এটা মানবাধিকার ও পরিষদ উভয়ের জন্যই ভালো কিছু বয়ে আনবে না।’
ইউএন ওয়াচের নির্বাহী পরিচালক হিলেল নিউয়ার বলেন, ‘স্বৈরাচারী এসব রাষ্ট্রকে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিচারক করার অর্থ দমকল বাহিনীতে অগ্নিসংযোগকারী দলের মতো।’
সৌদি আরব ২০১৯ সাল পর্যন্ত পরিষদের সদস্য ছিল। আর উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন ও হংকংয়ের সঙ্গে বিরোধের জেরে চীনকে পরিষদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছিল।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, নিজেদের ও বন্ধু রাষ্ট্রের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা যাচাই বাছাইয়ে উভয় দেশেরই ক্ষমতার অপব্যবহার করার ইতিহাস রয়েছে।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনে আগ্রাসন, নিজ দেশের বিরোধীদলের ওপর নির্যাতন ও গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে ।
সূত্র: আল জাজিরা।