যুদ্ধবিরতি শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়েছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান।
বিরোধপূর্ণ নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে যুদ্ধবিরতি দ্রুত ভঙ্গের জন্য দেশ দুইটি পরস্পরকে দায়ী করছে। একই সঙ্গে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কতটা কার্যকর, এমন প্রশ্নও তুলেছে তারা।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উদ্যোগে টানা ১০ ঘণ্টা আলোচনার পর আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। শনিবার মধ্যরাত থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা ছিল।
আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী দেশটির স্থাপনায় গোলাবর্ষণের জন্য আজারবাইজানকে দায়ী করেন। অন্যদিকে আজারবাইজান বলছে, শত্রুপক্ষ তাদের দেশে আক্রমণ করে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, নাগোরনো-কারাবাখের প্রধান শহর স্তেপানাকার্তে সাতটি বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটে। বাসিন্দাদের দ্রুত বেজমেন্ট ও নিরাপদ স্থানে যেতে সাইরেন বাজানো হয়।
ঘটনাস্থলে থাকা সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদক জানান, আজারবাইজানের জনগণ যুদ্ধবিরতির পক্ষে ছিল না।
তিনি বলেন, ‘৩০ বছর পর এই প্রথম অত্যাধুনিক অস্ত্র পেয়েছে আজারবাইজানের সামরিক বাহিনী। তারা মনে করে, দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতি শুধু আর্মেনিয়াকে সহযোগিতা করবে; এ সময়ের মধ্যে তারা (আর্মেনিয়া) সেখানে (নাগোরনো-কারাবাখ) স্থাপনা গড়ে তুলবে।’
নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান।
মস্কোতে টানা ১০ ঘণ্টা আলোচনার পর স্থানীয় সময় শনিবার সকালে দেশ দুটি যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সম্মত হয় বলে জানান রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
নাগোরনো-কারাবাখকে নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে কয়েক দশক ধরে যুদ্ধ চলছে। ২৭ সেপ্টেম্বর নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০০ জন নিহত হয়।