যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে অন্য কারও মধ্যে করোনাভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসক শন কনলি।
স্থানীয় সময় শনিবার রাতে এক বার্তায় তিনি এ কথা জানান।
গত বৃহস্পতিবারের পর ট্রাম্পের স্বাস্থ্য নিয়ে সর্বশেষ তথ্যটি ছিল কনলির এ বার্তা।
এর আগে শনিবার হোয়াইট হাউজে উচ্ছ্বসিত সমর্থকদের সামনে হাজির হয়ে বক্তব্য দেন ট্রাম্প। করোনার চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছাড়ার পর এটিই ছিল তার প্রথম জনসমক্ষে আসা।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির একটি সামরিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ট্রাম্প। সেখানে তিন দিন থাকার পরই তিনি হোয়াইট হাউজে ফিরেন। নিজ বাসভবন ও দফতরের ব্যালকনিতে এসেই মাস্ক খুলে ফেলেন ট্রাম্প।
এমন বাস্তবতায় অনেকের মধ্যেই প্রেসিডেন্টের শারীরিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। চিকিৎসকের বার্তায় সে প্রশ্নের উত্তর মিলেছে।
এতে বলা হয়, ট্রাম্পের সর্বশেষ পরীক্ষায় দেখা গেছে, তার শরীরে করোনার ‘সক্রিয় পুনরাবৃত্তির’ কোনো লক্ষণ নেই। তবে ট্রাম্প দ্বিতীয় পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ হয়েছেন কি না, তা পরিষ্কার নয় বার্তায়।
এদিকে শনিবারের অনুষ্ঠানে সমর্থকদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, তিনি করোনার ওষুধ সেবন করছেন না। তার দারুণ লাগছে।
একই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছিলেন ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের ডেমোক্র্যাটিক প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন। প্রচারে দেয়া বক্তব্যে বাইডেন বলেন, করোনায় প্রাণহানি হওয়া পরিবারগুলোর প্রতি তার গভীর সমবেদনা।
নির্বাচনে দুই প্রার্থীর জনপ্রিয়তা নিয়ে চালানো এক জরিপে বলা হয়, ট্রাম্পের চেয়ে এক শতাংশ এগিয়ে আছেন বাইডেন। অন্যদিকে এবিসি নিউজ/ইপসসের এক জরিপে বলা হয়, ট্রাম্প যেভাবে করোনাভাইরাস মোকাবিলা করেছেন, তাতে সমর্থন আছে মাত্র ৩৫ শতাংশ আমেরিকানের।
যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যু হয়েছে দুই লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষের।
সূত্র: বিবিসি