অসমে সরকারি মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। তুলে দেওয়া হবে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডও। রাজ্য সরকার কোনো ধর্মীয় শিক্ষার খরচ বহন করবে না বলে ঠিক করেছে। নভেম্বর মাসেই বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে। এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।
বিজেপি শাসিত ভারতের অসম রাজ্যের সব সরকারি মাদ্রাসা-স্কুল ও সংস্কৃত টোল তুলে দেয়ার ঘোষণা রাজ্য বিধানসভায় আগেই দেয়া হয়েছিল।শনিবার অসমের শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা গুয়াহাটিতে সাংবাদিকদের বলেন, 'নভেম্বর মাস থেকেই সরকারি নির্দেশ কার্যকর করা হবে। ধর্মীয় শিক্ষার খরচ সরকার দেবে না। তুলে দেয়া হচ্ছে মাদ্রাসা বোর্ডও।'
মাদ্রাসার শিক্ষকদের সরকারি স্কুলে নিয়োগের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। একইরকম ভাবে সংস্কৃত টোলগুলিও বন্ধ করার কথা বলেন তিনি। তবে অসমে সরকারি সংস্কৃত টোল নেই বললেই চলে।
অসম সরকারের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা। কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, বিজেপি মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে।
অসমের কংগ্রেস নেতা পার্থরঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, 'দুর্নীতিতে নিমজ্জিত বিজেপি সরকার মানুষের ধর্মীয় আবেগ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবেন।'
অসমে ২০২১ সালে বিধানসভার ভোট। ভোটারদের প্রায় ৩৫ শতাংশ মুসলমান। মুসলিমদের দল বলে পরিচিত এআইইউডিএফ ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের কথা বলে চাপে রেখেছে বিজেপিকে।
এআইইউডিএফ প্রধান বদরুদ্দিন আজমল সরকারি মাদ্রাসা শিক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, 'এখন সবচেয়ে জরুরি কাজ হলো বিজেপিকে পরাস্ত করা।'
এআইইউডিএফের একটি প্রতিনিধি দল রাজ্য সরকারের কাছে স্মারকপত্র দিয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে। কিন্তু শনিবার হিমন্ত বুঝিয়ে দিলেন মাদ্রাসা তুলে দেয়ার সিদ্ধান্তে বিজেপি সরকার অনঢ়।