ইরানের গুরুত্বপূর্ণ ১৮টি ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে এ নিষেধাজ্ঞা ইরানের অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নতুন এ নিষেধাজ্ঞার ফলে আট কোটি জনসংখ্যার দেশ ইরান বড় পরিসরে বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।
ইরানের ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অভিযোগ কী, সে সম্পর্কে কিছু জানায়নি ট্রাম্প প্রশাসন। তবে তারা জানিয়েছে, ইরান সরকারের পারমাণবিক কর্মসূচি ও ভূরাজনৈতিক প্রভাবে দেশটির আর্থিক ব্যবস্থার ভূমিকা থাকতে পারে।
ট্রেজারি সেক্রেটারি স্টিভেন মেনুশিন জানান, নিষেধাজ্ঞাটি ইউএস ডলারে অবৈধ প্রবেশ বন্ধ করবে।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘ইরান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সমর্থন ও পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ না করা পর্যন্ত আমাদের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।’
তবে খাদ্য ও ওষুধের মতো মানবিক বিষয়ে ব্যাংকগুলো লেনদেন করতে পারবে বলে ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে। তবে ইউরোপের কূটনীতিকরা মনে করছেন, নিষেধাজ্ঞার ফলে ইরান ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।
ব্যাংকগুলোকে লেনদেন বন্ধের সময় দিয়ে ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট জানায়, আগামী দেড় মাসের মধ্যে নিষেধাজ্ঞাটি কার্যকর হবে।
যেসব দেশের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক আছে, তাদের জন্য এই সময়সীমা এক ধরনের সুযোগ। কারণ এই সময়ের মধ্যে তারা জেনে যাবে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হচ্ছেন।
৩ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পের বিপক্ষে লড়ছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন।
ইরানের সঙ্গে কূটনীতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পক্ষে বাইডেন।
মিত্র রাষ্ট্র সৌদি আরব ও ইসরায়েলের 'চির শত্রু' ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ দেয়ার কৌশল নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র: আরব নিউজ