জিনোম সম্পাদনায় পদ্ধতিগত উন্নয়নের জন্য রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন জার্মানির ইমানুয়েল শারপেনচি ও যুক্তরাষ্ট্রের জেনিফার ডাওনা।
বুধবার সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে সংবাদ সম্মেলনে ২০২০ সালে রসায়নে নোবেলজয়ী হিসেবে তাদের নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস।
এই দুই গবেষক ক্রিসপার (সিআরআইএসপিআর বা ক্যাস৯) নামে জিন কাটার একটি সরঞ্জাম আবিষ্কার করেছেন।
জেনেটিক এ কাঁচি ব্যবহার করে গবেষকরা অনেক বেশি নির্ভুলভাবে প্রাণী, উদ্ভিদ ও অণুজীবের ডিএনএ পরিবর্তন করতে পারবেন।
এ প্রযুক্তি জীবতত্ত্বে বৈপ্লবিক প্রভাব ফেলেছে। নতুন ক্যান্সারের চিকিৎসায় এটি ব্যবহার হচ্ছে। পাশাপাশি অনেক অনিরাময়যোগ্য রোগ এর মাধ্যমে সারিয়ে তোলা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জীবনের সূক্ষ্ম বিষয়ে অনুসন্ধান চালাতে কোষের জিনগুলোতে পরিবর্তন আনতে হয় গবেষকদের। এটি অনেক সময়সাপেক্ষ, জটিল এবং কখনও কখনও অসম্ভব। তবে এই দুই বিজ্ঞানীর ক্যাস৯ জেনেটিক কাঁচি ব্যবহার করে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এটি করা সম্ভব হচ্ছে।
জার্মানির বার্লিনের প্যাথোজেনস বিজ্ঞানের ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইউনিটের পরিচালক ইমানুয়েলে শারপেনচি ১৯৮৬ সালে ফ্রান্সের জুভিসি-সুর-ওরেজে জন্মগ্রহণ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার অধ্যাপক জেনিফার ডাওনা ১৯৬৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে জন্মগ্রহণ করেন।
নোবেল পুরস্কার হিসেবে পাওয়া ১০ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনা তারা ভাগাভাগি করে নেবেন।