বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুর্গাপূজা নিয়ে অসমে টানাপড়েন

  • তরুণ চক্রবর্তী, কলকাতা    
  • ৫ অক্টোবর, ২০২০ ১২:৪০

দুর্গা প্রতিমা ৫ ফুটের বেশি করা যাবে না। তাও আবার পূজা করতে হবে স্থায়ী মণ্ডপে। বিকেল ৫টার পর প্রতিমা দর্শন নিষিদ্ধ। এমনই একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে ভারতের অসম রাজ্যের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায়।

কোভিড-১৯ মোকাবিলার নামে বাঙালিদের সংস্কৃতিতেই আঘাত হানা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন অসম রাজ্য নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমন্বয় সমিতির সভাপতি ও আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য তপোধীর ভট্টাচার্য।

তপোধীর বলেন, ‘শারদোৎসব বাঙালি সংস্কৃতির অঙ্গ। আর বাঙালি হিন্দু অথবা মুসলিম হয় বলে আমি মনে করি না। বাঙালি আসলে বাঙালিই। সেই বাঙালির সংস্কৃতিতে আঘাত হানা হচ্ছে। এটা করা হচ্ছে অসমিয়া আধিপত্যবাদীদের খুশি করার জন্য।’

‘আমরা বাঙালি’ নামক সংগঠনের নেতা সাধন পুরকায়স্থের অভিযোগ, ‘অসমে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার থাকলেও বাঙালি জাতিটাকেই শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। হিন্দি বা অসমিয়া আধিপত্যবাদীদের কাছে বাঙালি হওয়াটাই অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

এদিকে অসমের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন উলফা (স্বাধীন) গোষ্ঠী অনেক আগেই দুর্গা পূজা বন্ধ রাখার ‘নির্দেশ’ দিয়েছে। পরেশ বড়ুয়ার নেতৃত্বাধীন জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অসমিয়াদের মূল উৎসব বিহু এবার করার অনুমতি দেয়া হয়নি। কোভিডের কারণে দুর্গা পূজা বন্ধ রাখা হোক। না হলে সর্বনাশ হবে অসমিয়াদের। উলফা সেটি বরদাশত করবে না।’

আগামী বছর অসমে বিধানসভার ভোট। তাই সরকার ও বিরোধী পক্ষও দুর্গা পূজা নিয়ে ময়দানে অবতীর্ণ।

কংগ্রেস নেতা পার্থরঞ্জন চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘বিজেপি বাঙালি বিদ্বেষ থেকেই দুর্গা পুজা বন্ধ করে দিতে চায়।’

পিছিয়ে নেই বিজেপিও। দলের রাজ্য সভাপতি রিপুন বরা বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পূজা হবে। বিজেপি মোটেই প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে না।’

বিজেপির শাখা সংগঠনগুলোও বিরোধীদের প্রচারের জবাব দিতে ময়দানে অবতীর্ণ।

অসমের জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন কোটি। এর মধ্যে ৯০ লাখেরও বেশি বাঙালি। আবার বাঙালিদের মধ্যে হিন্দু ৪৮ শতাংশের কাছাকাছি। অসমিয়া ১ কোটির কাছাকাছি। আছে অন্যান্য ভাষিক গোষ্ঠীও। ফলে নির্বাচনে বাঙালিদের গুরুত্ব অনেক।

এ বিভাগের আরো খবর