বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কৃষকদের শেষ করতে দেব না মোদির সরকারকে: রাহুল গান্ধী

  • আশিস গুপ্ত, নয়াদিল্লি    
  • ৪ অক্টোবর, ২০২০ ১৯:৪৪

ভারতের সংসদে পাস হয়েছে কৃষি সংস্কারমূলক তিনটি বিল। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর তা আইনে পরিণত হয়েছে। সেই আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন দেশের কৃষকেরা, সঙ্গে আছে বিরোধী দলগুলো।

কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। পাঞ্জাবে তিন দিনের ‘ক্ষেতি বাঁচাও যাত্রা’ শুরু করেছে কংগ্রেস।

রোববার পাঞ্জাবের মোগা জেলায় কৃষকদের তিনদিনের প্রতিবাদ কর্মসূচির সূচনা করেন সাংসদ ও কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছেন, কৃষকদের শেষ করতে দেব না নরেন্দ্র মোদির সরকারকে।

রাহুল গান্ধী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বলছে নতুন কৃষি আইনে উপকৃত হবে দেশের কৃষক! তাই যদি হবে তাহলে দেশের হাজার হাজার কৃষক কেন রাজপথে নেমে বিক্ষোভে সামিল হচ্ছে? পাঞ্জাবের প্রতিজন কৃষক কেন ওই তিনটি আইনের বিরোধিতায় লাগাতার আন্দোলনে শরিক হয়েছে?

সংসদে কৃষি বিল পাস করানোর প্রশ্নে সরকারের তীব্র সমালোচনা করে রাহুল বলেন, ‘কোনো আলোচনা ছাড়াই সংসদে বিল তিনটি পাস করানো হলো অগণতান্ত্রিকভাবে। করোনা সংক্রমণের কারণে গোটা দেশ যখন এক কঠিন সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তখন কৃষি ও কৃষকের জন্য সর্বনাশা আইন প্রণয়ন করা হলো। এটা শুধু অন্যায় নয়, অমানবিক এবং স্বৈরাচারী পদক্ষেপ।

এদিন ট্রাক্টর মিছিলেও অংশ নেন রাহুল; সঙ্গে ছিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং ও প্রদেশ কংগ্রেস প্রধান সুনীল জাখার।

এদিন দুপুর ১২টায় মোগা জেলার বাধনি কালানে জনসভা করেন রাহুল। চণ্ডীগড় থেকে ১৭০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই বাধনি কালান। এরপর বাধনি কালান থেকে লুধিয়ানার জাঠপুরা পর্যন্ত ট্রাক্টর মিছিলে অংশ নেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। শেষে জাঠপুরায় বিকেল ৪টায় এক জনসভা করেন।

সেই জনসভায় রাহুল গান্ধী বলেন, ‘আসলে নরেন্দ্র মোদীর সরকার আম্বানি, আদানীদের মতো শিল্পপতিদের কাঠপুতুলে পরিণত হয়েছে। ওই শিল্পপতিদের অঙ্গুলিহেলনে চলছে সরকার। গত ছয় বছর ধরে মিথ্যা কথা বলে আসা নরেন্দ্র মোদী এখন দেশের কৃষি ব্যবস্থার তিনটি স্তম্ভ- কৃষিজাত পণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, সরকারের দ্বারা খাদ্যশস্য সংগ্রহ ও মান্ডি (নিয়ন্ত্রিত খোলা বাজার) ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিতে চাইছে।’

সেপ্টেম্বর মাসে সংসদে পাস হয়েছে কৃষকদের উৎপাদিত দ্রব্য বাণিজ্য (প্রচার ও সহায়তা) বিল ২০২০, কৃষক (ক্ষমতায়ন ও সুরক্ষা) দামের নিশ্চয়তা ও পরিষেবা চুক্তি বিল ২০২০ এবং জরুরি পণ্য (সংশোধনী) বিল ২০২০।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আইনের জেরে কৃষক তার পণ্য নিয়ে আর দরদাম করতে পারবেন না। কর্পোরেট নির্ধারিত দামেই কৃষি পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য হবেন। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য থেকেই বঞ্চিত হবেন। তবে সরকার বলছে, এই আইনে মাঝারি ও প্রান্তিক কৃষকদের লাভ হবে।

এ বিভাগের আরো খবর