থাইল্যান্ডের রক্ষণশীল শিক্ষাব্যবস্থা পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছে দেশটির উচ্চ বিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা।
সাদা রিবন পরে, হাঙ্গার গেমস স্যালুট দেখিয়ে প্রতিবাদ জানায় তারা।
স্কুল শিক্ষার্থীরা এমন এক সময়ে বিক্ষোভে নেমেছে যখন থাইল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কয়েক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা।
স্কুল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে সক্রিয় ১৭ বছর বয়সী পেকা লয়েতপ্যারিসানু তার বাসভবন থেকে রয়টার্সকে বলেন, 'আমাদের প্রথম স্বৈরাচার শেখায় স্কুল।'
তিনি আরও বলেন, 'তারা (কর্তৃপক্ষ) আমাদের মগজে ঢুকিয়ে দিতে চাইছে যে, কর্তৃত্ববাদী একটি সমাজে আমরা ছোট মানুষ। এর মানে দাঁড়াচ্ছে, আমাদের অনেক অধিকারই লঙ্ঘিত হচ্ছে।'
থাই স্কুলগুলোতে ছড়িয়ে পড়া আন্দোলনকে 'ব্যাড স্টুডেন্ট' আন্দোলন হিসেবে চিহ্নিত করেছে সংগঠকরা। থাইল্যান্ডে স্কুলের অভিজ্ঞতা নিয়ে এক শিক্ষার লেখা বই থেকে এ নামকরণ করা হয়। স্কুল শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনের কয়েকটি লক্ষ্য রয়েছে। এর একটি হলো সরকারবিরোধী আন্দোলনের বৃহত্তর লক্ষ্যগুলোকে সমর্থন করা। এর পাশাপাশি তারা স্কুলে পুরনো কিছু নিয়মকানুনের বিলোপ চায়।
কিছু প্রথা এখনো মেনে চলা হয় থাইল্যান্ডের স্কুলগুলোতে। সেখানে সকালের সমাবেশগুলোতে রাজকীয় সংগীত বাজানো হয়।
স্কুলপোশাকের বিষয়ে কড়াকড়ি আছে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের কড়া অনুশাসনে রাখা হয়। স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীরা বিনা বাক্য ব্যয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মেনে নেবে, এমনটাই প্রত্যাশা করা হয়।
সমালোচকরা বলছেন, থাই স্কুলগুলােতে শিক্ষার চেয়ে নিয়মকানুন মেনে চলার ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।
আন্তসরকার অর্থনৈতিক সংস্থা ইকোনোমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের (ওইসিডি) ২০১৮ সালের স্কোর অনুযায়ী, থাইল্যান্ডের অবস্থান শীর্ষে থাকা সিঙ্গাপুরের চেয়ে অনেক পিছিয়ে। এ ছাড়া দেশটি পড়া, গণিত ও বিজ্ঞানে প্রতিবেশী মালয়েশিয়ার চেয়েও পিছিয়ে।