বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা স্বীকার মিয়ানমারের দুই সেনার

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৩:১৫

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কমান্ডিং অফিসাররা দেশটির রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে 'দেখামাত্র গুলি'র নির্দেশ দিয়েছিলেন; জানিয়েছেন পক্ষত্যাগকারী দুই সেনা। 

এক ভিডিও সাক্ষ্যে তারা এ কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে একটি মানবাধিকার সংস্থা।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টাইমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনা নির্দেশিত গণহত্যা, ধর্ষণ ও অন্যান্য অপরাধের প্রথম কোনো প্রকাশ্য স্বীকারোক্তি হিসেবে এলো  সাবেক সেনাদের এই ভিডিও সাক্ষ্য। 

বিষয়টিকে সামনে আনা মানবাধিকার সংস্থা ফোর্টিফাই রাইটসের মতে, এ সাক্ষ্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের চলমান তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে কাজে আসতে পারে।

২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে বিদ্রোহী একটি গোষ্ঠীর হামলার পরিপ্রেক্ষিতে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে অভিযানে নামে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যরা। অভিযানের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আসে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। 

অভিযানের সময় সেনা সদস্য ও তাদের সহযােগীরা বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা হত্যা, নারী-শিশুদের ধর্ষণ, হাজারো ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটায় বলে দাবি রোহিঙ্গা ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার। রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতার স্বপক্ষে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো বিভিন্ন নথিপত্রও হাজির করেছে। তবে মিয়ানমার সরকার বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

মিয়ানমারের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া ফোর্টিফাই রাইটস বলেছে, গত মাসে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দুই সৈনিক দেশ থেকে পালিয়ে যান। ধারণা করা হচ্ছে, তারা নেদারল্যান্ডসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের হেফাজতে আছেন। এ আদালত রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো সহিংসতা নিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে।

ফোর্টিফাই রাইটসের মতে, সেনাবাহিনীর দুটি লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়ন থেকে পক্ষত্যাগকারী সেনারা হলেন মায়ো উইন তুন (৩৩) ও জ নাইং তুন (৩০)। সংস্থাটির দাবি, সেনাদ্বয় রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালানো ১৯ জনের নাম ও পদবি জানিয়েছেন। ওই ১৯ জনের মধ্যে তারা ছাড়াও ছয়জন জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রয়েছেন।  

মানবাধিকার সংস্থাটির ভাষ্য, চলতি বছরের জুলাইয়ে রাখাইনভিত্তিক গেরিলাগোষ্ঠী আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকার সময় দুই সেনার ভিডিওটি ধারণ করা হয়। ভিডিওতে ইংরেজি সাবসাইটাইটেলও রয়েছে। 

এ বিভাগের আরো খবর