গভীর রাতে ঘরে ঢুকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলা হয়েছে। গুরুতর আহত সরকারি কর্মকর্তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, রাত দুইটার দিকে ভেন্টিলেটর দিয়ে সরকারি ডাকবাংলোতে অস্ত্রসহ ঢুকে হামলা করে একজন। তাকে আটক করা যায়নি।
গুরুতর অবস্থায় ইউএনওকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং তার বাবাকে ঘোড়াঘাট উপজেলা হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।
ওয়াহিদা খানমের বাবা ওমর আলী নওগাঁ থেকে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। ওয়াহিদার স্বামী মেজবাহুল হোসেন রংপুরের পীরগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম জানান, কী কারণে কে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানতে পারেননি তারা। তবে ওই বাসা থেকে কোনো কিছু খোয়া যায়নি। এটি ডাকাতির চেষ্টা, না ‘আক্রোশ’ থেকে কেউ হামলা করেছে, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইউএনওর বাবা ওমর আলী পুলিশকে জানিয়েছেন, রাতে বাথরুমের ভেন্টিলেটর ভেঙে কেউ একজন বাসায় ঢোকেন। ওয়াহিদা খানম টের পেয়ে এগিয়ে গেলে তার মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয়। এ সময় ওমর আলী এগিয়ে গেলে তাকেও আঘাত করে হামলাকারী।
ইউএনও চিৎকারে সরকারি কর্মচারী ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
হামলার সংবাদ পেয়ে দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক, জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম ও পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।