বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ওরস্যালাইনের উদ্ভাবক রিচার্ড ক্যাশ মারা গেছেন

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৪ অক্টোবর, ২০২৪ ২১:০৩

বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ড. রিচার্ড ক্যাশ ১৯৬৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষাজীবন শেষ করে চিকিৎসক হিসেবে ঢাকার কলেরা রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে (বর্তমান আইসিডিডিআর,বি) যোগদান করেন। এই আমেরিকান প্রাণঘাতী ডায়রিয়া নিরাময়ে সহ-গবেষক হিসেবে খাবার স্যালাইন ফর্মুলার চূড়ান্ত রূপ দেন। তার এই যুগান্তকারী উদ্ভাবন ডায়রিয়া থেকে বাংলাদেশসহ বিশ্বের লাখ লাখ মানুষের জীবন রক্ষায় বড় ভূমিকা রেখে চলেছে।

জনস্বাস্থ্য গবেষক ও খাবার স্যালাইনের অন্যতম উদ্ভাবক ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার’ ড. রিচার্ড অ্যালান ক্যাশ মারা গেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের টি এইচ চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেলথের শিক্ষক ড. রিচার্ড ক্যাশ মঙ্গলবার (২২শে অক্টোবর) বোস্টন শহরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

ড. রিচার্ড ক্যাশ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিদেশে জনমত তৈরি, অর্থ সংগ্রহ ও স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাকে ‘ফ্রেন্ডস অফ লিবারেশন ওয়ার’ সম্মাননা প্রদান করে।

বৃহস্পতিবার ব্র্যাকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ড. ক্যাশের মৃত্যুর সংবাদ জানিয়ে ব্র্যাক পরিবার গভীরভাবে শোক প্রকাশ করেছে।

ড. ক্যাশ ১৯৪১ সালের ৯ জুন জন্মগ্রহণ করেন। জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হলেও ড. রিচার্ড ক্যাশ বাংলাদেশকে তার দ্বিতীয় বাড়ি (সেকেন্ড হোম) বলে মনে করতেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু এবং সুদীর্ঘ সময়ের সহযাত্রী।

বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিস্তৃত গবেষণা ও প্রভূত অর্জনের পেছনে তার অসামান্য অবদান রয়েছে। ৭০-এর দশকে প্রাণঘাতী ডায়রিয়া নিরাময়ে সহ-গবেষক হিসেবে তিনি খাবার স্যালাইন ফর্মুলার চূড়ান্ত রূপ দেন। তার এই যুগান্তকারী উদ্ভাবন ডায়রিয়া থেকে বাংলাদেশসহ বিশ্বের লাখ লাখ মানুষের জীবন রক্ষায় সহায়ক হয়।

ড. রিচার্ড ক্যাশ ১৯৬৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের একটি মেডিক্যাল স্কুল থেকে শিক্ষাজীবন শেষ করে চিকিৎসক হিসেবে ঢাকার কলেরা রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে (বর্তমান আইসিডিডিআর,বি) যোগদান করেন। এখানে তিনি অন্য গবেষকদের সঙ্গে মিলে ডায়রিয়া নিরাময়ে খাবার স্যালাইনের কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণা করে সফলতা অর্জন করেন।

এ বিভাগের আরো খবর