বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢামেকে বহির্বিভাগ বন্ধ থাকায় জরুরি বিভাগে রোগীর চাপ

  •    
  • ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৯:২৬

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে ভোগান্তি বেড়েছে রোগী ও স্বজনদের। বহির্বিভাগ বন্ধ থাকায় জরুরি বিভাগে রোগীর চাপ বেড়েছে। তাদের মধ্যে দূর-দূরান্ত থেকে আসা অনেক রোগী নিয়ে জরুরি বিভাগে ভিড় করছেন স্বজনরা।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে ভোগান্তি বেড়েছে রোগী ও স্বজনদের। বহির্বিভাগ বন্ধ থাকায় জরুরি বিভাগে রোগীর চাপ বেড়েছে। তাদের মধ্যে দূর-দূরান্ত থেকে আসা অনেক রোগী নিয়ে জরুরি বিভাগে ভিড় করছেন স্বজনরা।

সোমবার ঢামেক হাসাপাতালের বহির্বিভাগ ঘুরে দেখা যায় রোগীর উপচেপড়া ভিড়। ব্রেইন স্ট্রোক, হৃদরোগ, মূত্র সমস্যা, পেটব্যথা, ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় আক্রান্ত, এজমাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত মানুষের ভিড় জরুরি বিভাগের সামনে।

দেশের সবচেয়ে বড় এই চিকিৎসা কেন্দ্রে এসে বহির্বিভাগ বন্ধ দেখে রোগীদের স্বজনরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনা, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হচ্ছেন। হাসপাতালের বহির্বিভাগ বন্ধ কেন জানতে চাচ্ছেন তারা।

জবাবে আইন-শৃঙ্খলা দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা নিজেদের অপারগতা জানিয়ে বলছেন- আপনারা এই সমস্যা নিয়ে হাসপাতাল পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে দেখতে পারেন।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সোমবার রোগীর প্রচণ্ড চাপ ছিল। ছবি: নিউজবাংলা

মুন্নি হাসান নামে এক নারী রাজধানীর সাইনবোর্ড এলাকা থেকে ইউরোলজি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে আসেন ঢামেকে। পরে তাকে চিকিৎসা না পেয়েই ফিরে যেতে।

পিত্তে পাথর সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে ঢাকা মেডিক্যালের ১০৯ নম্বর সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন বংশালের শারমিন আক্তার। সোমবার তার অপারেশন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এনেসথেশিয়া চিকিৎসক না আসায় তার অপারেশন হয়নি। এমন প্রায় ১০ জন অপারেশনের রোগীকে সোমবার হাসপাতাল থেকে চলে যেতে হয়েছে।

কামরাঙ্গীরচর থেকে অন্তরা আক্তার এসেছেন তার তিন বছর বয়সী সন্তান ইয়ামিনকে নিয়ে। শিশুটি শ্বাসকষ্ট রোগে ভুগছে। তিনি জরুরিভিত্তিতে চিকিৎসার জন্য বহির্বিভাগ গিয়ে দেখেন সেখানে সেবা বন্ধ। সেখান থেকে শিশুটিকে জরুরি বিভাগে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

ঢামেক বহির্বিভাগের নিরাপত্তায় দায়িত্বরত সহকারী প্লাটুন কমান্ডার (এপিসি) ফজলুর রহমান বলেন, আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত কমপক্ষে সাড়ে পাঁচশ’ রোগীকে বহির্বিভাগ থেকে ফেরত দেয়া হয়েছে।

যেসব রোগী জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়ার মতো শুধু তাদেরকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে রোগী ও সঙ্গে আসা স্বজনদের বহু বকাঝকা ও গালমন্দ খেতে হয়েছে আমাদেরকে।’

জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টার থেকে আজ সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৯০০ টিকিট বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন টিকিট কাউন্টার ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম।

ঢামেক হাসপাতালে সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা বহির্বিবিভাগসহ বিভিন্ন স্পটে অবস্থান নিয়ে তদারকি করছেন।

হাসপাতালের গার্ড ও বিভিন্ন দায়িত্বরত কর্মচারীরা জরুরি বিভাগের প্রবেশপথে অবস্থান নিয়ে প্রবেশকারীদের চেক করে ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছেন। জরুরি বিভাগের ভেতরে বিভিন্ন ওয়ার্ডের সামনেও সেনা সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। সেখানে বরাবরের মতোই লাইন দিয়ে টিকিট কেটে চিকিৎসক দেখাতে পারছেন রোগীরা।

কর্মবিরতি নিয়ে যা বললেন চিকিৎসক

এদিকে আজ বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্লকে ইন্টার্ন চিকিৎসক মো. আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আয়তায় আনা হোক। এই সন্ত্রাসীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মবিরতি চলবে।

‘আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত আমরা ঢাকা মেডিক্যালে অবস্থান কর্মসূচি। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সমপরিসরে বহির্বিভাগে রোগীদের সেবা দেয়া হবে। তবে রুটিন সেবা বন্ধ থাকবে। ইমার্জেন্সি ইনডোর খোলা থাকবে।’

এ বিভাগের আরো খবর