বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোগীর মৃত্যুতে হাসপাতালে হামলা ভাঙচুর, ইন্টার্নদের কর্মবিরতি

  • প্রতিনিধি, জামালপুর   
  • ১২ মার্চ, ২০২৪ ১৬:৪০

মারা যাওয়া রোগীর ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ। মৃত্যুর ৮ ঘণ্টা পর মরদেহ হস্তান্তর করেছে জামালপুরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

জামালপুরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। মৃত রোগীর স্বজনদের হামলায় আহত হয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসক। এ প্রতিবাদে কর্মবিরতি শুরু করেছেন ইন্টার্নরা।

হামলা-ভাঙচুরের এ ঘটনায় মৃত রোগীর ছেলেকে পুলিশ আটক করেছে। আর রোগীর মৃত্যুর ৮ ঘণ্টা পর স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে জামালপুর পৌর এলাকার রশিদপুর গ্রামের গুল মাহমুদকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা। পরে রোগীকে মেডিসিন ওয়ার্ডে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে চিকিৎসকদের কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা

এ সময় চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে রোগীর স্বজনরা চিকিৎসকের ওপর চড়াও হয়। অন্য ওয়ার্ড থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা মেডিসিন ওয়ার্ডে গেলে তাদের ওপরও স্বজনরা হামলা চালায় এবং চিকিৎসকদের কক্ষ ভাঙচুর করে। এতে ইন্টার্ন চিকিৎসক মঞ্জুরুল হাসান জীবন, ডা. ফহমিদুল ইসলাম ফাহাদ ও ডা. তুষার আহমেদ আহত হন।

এদিকে, চিকিৎসকদের অবহেলায় রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করে

মৃতের স্বজনদের অভিযোগ, মৃত্যুর পর গুল মাহমুদের মরদেহ হাসপাতালে না পেয়ে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তার দুই ছেলে হায়দার ও হাফিজের সঙ্গে হাসপাতালের স্টাফদের বাকবিতন্ডা হয়। এ কারণে মধ্যরাতে মৃত্যু হলেও দুপুর পর্যন্ত মরদেহ আটকে রাখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ডাক্তাররা দাবি তোলেন যে মৃতের ছেলেকে আটক করার পর মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

অপরদিকে হামলাকারীদের আটক, শাস্তি ও ইন্টার্নদের নিরাপত্তার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

এ ঘটনায় হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান সোহান জামালপুর সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে মৃতের ছেলে হায়দার হাসপাতালে তার বাবার মরদেহ নিতে এলে পুলিশ তাকে আটক করে। আর সোমবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে মৃত্যু হলেও ছেলেকে পুলিশ আটক করার পর মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান সোহান বলেন, ‘হাসপাতালে রোগীকে আনার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করলে রোগীর দুই ছেলে হায়দার ও হাফিজ চিকিৎসকদের ওপর হামলা করে এবং চিকিৎসকদের কক্ষ ভাঙচুর করে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করেছি।

‘ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাদের নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেছে। এতে চিকিৎসা সেবা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। তবে অন্যান্য চিকিৎসককে দিয়ে সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

তিনি দাবি করেন, ‘নিকটাত্মীয় কেউ না থাকায় রোগীর মৃত্যুর পরপরই মরদেহ হস্তান্তর করা সম্ভব হয়নি। স্বজনরা যখন এসেছে তখন তাদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।’

জামালপুর সদর থানার ওসি মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, ‘এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। একজনকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর