বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যেখানেই যাই শুনি হাসপাতালে ডাক্তার থাকেন না

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৫ মার্চ, ২০২৪ ১৮:১০

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসকদের কিছু অসুবিধা আছে জানি। এসব অসুবিধা নোট করছি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে যারা চিকিৎসা সেবা দিতে যাবে তাদের জন্য কী কী ইনসেনটিভ রাখা যায় সেগুলো নিয়ে কাজ শুরু করেছি।’

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘যেখানে যাই সেখানেই হাসপাতালে ডাক্তার থাকে না শুনতে পাই। আমি চিকিৎসকদের সুবিধা যেমন দেব, তেমনই চিকিৎসকদেরকেও রোগীদের সেবা বুঝিয়ে দিতে হবে। চিকিৎসকরা গ্রামে গিয়ে মানুষকে সেবা দিক, তাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে দেয়া হবে।’

মঙ্গলবার সকালে সোসাইটি অফ নিউরো সার্জনস অফ বাংলাদেশ (এসএনবি)-এর দশতম জাতীয় নিউরোলজি কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব কনভেনশন হলে বাংলাদেশ সোসাইটি অফ নিউরো সার্জনস এই কনফারেন্সের আয়োজন করে।

সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘চিকিৎসকদের যে নানারকম সমস্যা ও প্রতিকূলতা আছে তা আমি জানি। কিন্তু মানুষকে চিকিৎসা তো দিতে হবে। জাতীয় সংসদে গেলে সংসদ সদস্যরা আমাকে বলেন তার এলাকায় চিকিৎসক থাকেন না।

‘যেখানে যাই সেখানেই হাসপাতালে ডাক্তার থাকে না শুনতে পাই। এগুলো তো ভালো কথা না। উপজেলা হাসপাতালে যদি ডাক্তার থাকতে না চায় তাহলে গ্রামের মানুষ কোথা থেকে ভালো চিকিৎসা পাবে?’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমি বার বার বলেছি যে চিকিৎসা খাতে সুনাম ফিরিয়ে আনতে হলে আমাদেরকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের রুট লেভেল পর্যন্ত ভালো চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে হবে।

‘প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসকদের কিছু অসুবিধা আছে জানি। এসব অসুবিধা নোট করছি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে যারা চিকিৎসা সেবা দিতে যাবে তাদের জন্য কী কী ইনসেনটিভ রাখা যায় সেগুলো নিয়ে কাজ শুরু করেছি।’

নিউরো চিকিৎসায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় কোনো অংশেই কম নয় বলে উল্লেখ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘গত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউরো হাসপাতালকে ৩০০ বেড থেকে ৫০০ বেডে উন্নীত করেছেন। নিউরো হাসপাতালের সক্ষমতা এখন বিশ্বের যেকোনো উন্নত দেশের সঙ্গে তুলনীয়।

‘দিন দিন নিউরো রোগীদের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে পাওয়া যাচ্ছে। ওইসব রোগীকে যাতে কষ্ট করে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে আসতে না হয় সেজন্য আমরা বিভাগীয় পর্যায়ে নিউরো চিকিৎসা পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হতে কাজ শুরু করছি।’

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, ‘চিকিৎসকদের উন্নত সেবা দিতে হলে ভালো মানের চিকিৎসা বিজ্ঞানের বই পড়তে হবে। চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধিতে চিকিৎসকদের আরও কাজ করতে হবে। নতুন নতুন চিকিৎসা গবেষণায় মন দিতে হবে।’

আয়োজক সংগঠন এসএনবি’র সভাপতি অধ্যাপক মো. বদরুল আলমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাচিপ সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী ও মহাসচিব ডা. কামরুল হাসান মিলন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটু মিয়াসহ ঊর্ধ্বতন অন্যান্য কর্মকর্তা।

অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন এসএনবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর আবু নাসির রিজভী।

এ বিভাগের আরো খবর