রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টা পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ২২ জন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন, আগুনের এই ঘটনায় দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীনদের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। কেউই আশঙ্কামুক্ত নন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে শুক্রবার সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগুন লাগার পর ভবনের বদ্ধ জায়গায় ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে অনেকে মারা গেছেন। আর যারা আহত হয়েছেন তারা কেউই শঙ্কামুক্ত নন। তাদের শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, যারা মারা গেছে তারা কার্বন মনোক্সাইড পয়জনিংয়ের শিকার হয়েছে। একটা বদ্ধ ঘরে যখন বের হতে পারে না, তখন ধোঁয়াটা শ্বাসনালীতে চলে যায়। প্রত্যেকেরই তা হয়েছে এবং যাদের খুব বেশি হয়েছে, তারা বাঁচতে পারেনি। দুঃখজনকভাবে তারা মারা গেছেন।’
বার্ন ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ও ইউনিটপ্রধান প্রবীর চন্দ্র দাস বলেন, ‘বেইলি রোডে বৃহস্পতিবার রাতের অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর কারণ কার্বন মনোক্সাইড পয়জনিং। সহজ ভাষায় যাকে বিষাক্ত কালো ধোঁয়া বলা যায়।’
এই চিকিৎসক বলেন, ‘আগুনের ঘটনায় যে কয়জন মারা গেছেন তাদের সবার মৃত্যুর কারণ পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। তবে বৃহস্পতিবার রাতে যে ১০ জনকে আহত ভেবে বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছিল তাদের মৃত্যুর কারণ পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে সেগুলো কার্বন মনোক্সাইড পয়জনিং।
আহত ব্যক্তিরা আধ ঘণ্টা থেকে ৪৫ মিনিট বদ্ধ ঘরে কালো ধোঁয়ার মধ্যে আটকে ছিলেন বলেও জানান ডা. প্রবীর চন্দ্র দাস।