বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কোনো তদবিরেই অবৈধ ক্লিনিক চালু রাখা যাবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৭:০২

মন্ত্রী বলেন, দেশব্যাপী স্বাস্থ্যখাত নিয়ে সাম্প্রতিক কিছু ইস্যু নিয়ে কথা হচ্ছে। ঘটনাগুলো যেকোনো মানুষের মনকেই নাড়া দেবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে আমাকে শক্তহাতে উদ্যোগ নিতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী আমাকে এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স মেইনটেইন করতে বলেছেন।

কোনো অনুরোধ বা তদবিরেই অবৈধ বা যন্ত্রপাতিহীন ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার সচল রাখা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ব্রিফ্রিংকালে এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘দেশব্যাপী স্বাস্থ্যখাত নিয়ে সাম্প্রতিক কিছু ইস্যু নিয়ে কথা হচ্ছে। ঘটনাগুলো যেকোনো মানুষের মনকেই নাড়া দেবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে আমাকে শক্তহাতে উদ্যোগ নিতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী আমাকে এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স মেইনটেইন করতে বলেছেন।

‘আমি দ্ব্যার্থহীনভাবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে চলবো। আমি পরিস্কারভাবে বলতে চাই, বৈধ প্রাইভেট হাসপাতাল,ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো আমরা বন্ধ করতে চাই না, তবে এগুলো চালাতে হলে যতগুলো চিকিৎসক, নার্স প্রয়োজন তা থাকতে হবে; যা যা যন্ত্রপাতি থাকার কথা সেগুলো থাকা নিশ্চিত করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সেটা করা না হলে, আমি কঠোর ব্যবস্থা নিতে জিরো টলারেন্স মেইনটেইন করবো। কেনো অনুরোধ বা তদবিরেই এসব অবৈধ বা যন্ত্রপাতিহীন ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার সচল রাখা হবে না।

‘আমরা এক মাসে প্রায় ১২২৭টি অবৈধ ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করেছি, এখনও অভিযান চলমান আছে। এর সাথে আরো বলে রাখি, বৈধ স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত লোকবল ও যন্ত্রপাতি না থাকলে সেগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি রোগীদের সুরক্ষা নিয়ে যেভাবে ভাবছি, একইভাবে আমি চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিয়েও কাজ করছি। ভালো সেবা পেতে হলে ভালো চিকিৎসক লাগবে। ভালো সুযোগ-সবিধা না পেলে ভালো চিকিৎসক পাওয়াও মুশকিল হবে।’

ব্রিফ্রিংকালে তিনি অতীতে কী কী হয়েছে সেগুলো নিয়ে না ভেবে এখন থেকে কী কী করা হচ্ছে সেদিকে বেশি মনোযোগ দিতে মিডিয়া কর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানান।

এর আগে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতাল ও ক্লিনিক সেবা শাখার সাথে সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও কর্মকর্তাদের সাথে আলাদা করে একটি বৈঠক করেন।

এ সময় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, বিএমডিসি সভাপতি অধ্যাপক ডা মাহমুদুল হাসান, বিএসএমএমইউ এর এনেস্থেসিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর দেবব্রত বণিক, ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালের এনেস্থিসিওলজি বিভাগের প্রধানসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর