চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চালু হলো ৫০ শয্যার ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) ওয়ার্ড। আগের ২০টির সঙ্গে ৩০টি শয্যা যোগ করে নতুন ওয়ার্ডটি চালু করা হয়েছে। হাসপাতালের নিচতলায় এই বিশেষায়িত ওয়ার্ডটি গড়ে তোলা হয়েছে।
শনিবার সকালে বিশেষায়িত ওয়ার্ডটি উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি ১৯৭৩ সালে এই মেডিক্যাল কলেজ থেকেই এমবিবিএস পাস করেছিলেন। ৫০ বছর পর এসে তিনি আইসিইউ ওয়ার্ড উদ্বোধন করতে পেরে নিজের সন্তোষ প্রকাশ করেন। এমন একটি কাজে নিজের নাম জড়িত থাকায় বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের সাবেক ছাত্র হিসেবে আজ এটি উদ্বোধন করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। মুমূর্ষু রোগীদের জীবন বাঁচাতে এই ইউনিট ভূমিকা রাখবে আশা করি।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী চমেক হাসপাতালে স্থাপন হতে যাওয়া ১৫০ শয্যার বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের জন্য নির্ধারিত স্থান ঘুরে দেখেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন শনিবার আইসিইউ ওয়ার্ড উদ্বোধন শেষে চমেক হাসপাতাল ঘুরে দেখেন। ছবি: নিউজবাংলা
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই বার্ন ইউনিট নিয়ে অনেকদিন ধরে যুদ্ধ করে আসছি। আমি এই মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র। আমার একটা স্বপ্ন, এখানে যেন একটা বার্ন ইউনিট হয়। আমরা কাজ মোটামুটি গুছিয়ে নিয়ে এসেছি। চাইনিজদের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ আছে।
‘রোববার প্রি-একনেক মিটিংয়ে বার্ন ইউনিটের বিষয়টি তোলা হবে। এরপর ডিপিপি পাস হলেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবো। সবাই সাহায্য করলে দ্রুতই এখানে ১৫০ শয্যার বার্ন ইউনিটের কাজ শুরু হবে। পূর্ণাঙ্গ বার্ন ইউনিট হলে চট্টগ্রামে আগুনে পোড়া রোগীরা উন্নত চিকিৎসা পাবে। এ বার্ন ইউনিটে অত্যাধুনিক আইসিইউ, এইচডিইউ এবং ওটি সুবিধা থাকবে।’
চমেক হাসপাতালে বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ের যন্ত্রপাতি অচল থাকার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে হাসপাতাল পরিচালকের সঙ্গে কথা বলবো। সচিব-ডিজি আছেন, তারাও কথা বলবেন। কোথায় কী সমস্যা আছে সেটা অবশ্যই দেখবো।’
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, ‘আইসিইউ ওয়ার্ডটিতে অবকাঠামোগত কাজ ও শয্যা স্থাপনের কাজ শেষ। এখন আইসিইউ ও আইসোলেশন ওয়ার্ডটি চালু হওয়ায় আইসিইউ সংকট কিছুটা হলেও কাটবে। তবে আমাদের আরও আইসিইউ বেড স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।’
পরিচালক জানান, নতুন ওয়ার্ডটিতে আনুমানিক ১০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি সংযোজন করা হয়েছে, যা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দিয়েছে। এ ছাড়াও গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে সংস্কার কাজে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ওয়ার্ডটিতে থাকছে ইকো কার্ডিওগ্রাম, এক্স-রে, ল্যাবরেটরি, আল্ট্রাসাউন্ডসহ প্রয়োজনীয় সব জরুরি চিকিৎসার ব্যবস্থা। থাকবে ডায়ালাইসিসের ব্যবস্থাও।