বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২০২৩ সালে ৫১৩ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, ছাত্রী ৬০.২%

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৭ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৫:৫৩

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘৫১৩ জন শিক্ষার্থীর মাঝে পুরুষ শিক্ষার্থী ছিল ২০৪ জন, যা ৩৯ দশমিক ৮ শতাংশ। অন্যদিকে নারী শিক্ষার্থী ছিল ৩০৯ জন, যা ৬০ দশমিক ২ শতাংশ। ২০২২ সালে আত্মহত্যাকারী শিক্ষার্থী ছিল ৫৩২ জন। ২০২৩ সালে কিছুটা কমলেও ততটা আশানুরূপ নয়।’

দেশে ২০২৩ সালে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১৩ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে জানিয়ে বেসরকারি সংস্থা আঁচল ফাউন্ডেশন বলেছে, শিক্ষার্থীদের ৬০ দশমিক ২ শতাংশই ছাত্রী।

আত্মহত্যা নিয়ে কাজ করা সংস্থাটি শনিবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আঁচল ফাউন্ডেশনের একদল গবেষকদের নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে সংগ্রহকৃত তথ্য-উপাত্ত থেকে দেখতে পাওয়া যায়, বিগত ২০২৩ সালে সর্বমোট ৫১৩ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। এর মধ্যে স্কুল শিক্ষার্থী ২২৭ জন, যা ৪৪ দশমিক ২ শতাংশ। কলেজ শিক্ষার্থী ১৪০ জন যা ২৭ দশমিক ২ শতাংশ। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ৯৮ জন যা ১৯ দশমিক ১ শতাংশ এবং মাদ্রাসা শিক্ষার্থী রয়েছেন ৪৮ জন, যা মোট শিক্ষার্থীর ৯ দশমিক ৪ শতাংশ।

‘৫১৩ জন শিক্ষার্থীর মাঝে পুরুষ শিক্ষার্থী ছিল ২০৪ জন, যা ৩৯ দশমিক ৮ শতাংশ। অন্যদিকে নারী শিক্ষার্থী ছিল ৩০৯ জন, যা ৬০ দশমিক ২ শতাংশ। ২০২২ সালে আত্মহত্যাকারী শিক্ষার্থী ছিল ৫৩২ জন। ২০২৩ সালে কিছুটা কমলেও ততটা আশানুরূপ নয়।’

আত্মহত্যার কারণ

আঁচল ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘২০২৩ সালে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল অভিমান, যা সংখ্যায় ১৬৫ জন বা ৩২ দশমিক ২ শতাংশ। এর পরেই প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা করে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ। মানসিক সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেন ৯ দশমিক ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী। পারিবারিক কলহজনিত কারণে ৬ দশমিক ২ শতাংশ, পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেন ১ দশমিক ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী।

‘২০২৩ সালে পড়াশোনার চাপের সম্মুখীন হয়ে আত্মহত্যার দিকে পা বাড়ান ৪ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী, পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ এবং পাবলিক পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জনে ব্যর্থ হয়ে বেঁচে থাকার পথ রুদ্ধ করেন ১ দশমিক ৮ শতাংশ শিক্ষার্থী। যৌন হয়রানির শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেন ২ দশমিক ৫ শতাংশ এবং অপমান বোধ করে আত্মহত্যা করেন শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ।’

বিভাগ অনুযায়ী আত্মহত্যার তথ্য

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে আত্মহত্যা করেছে ১৪৯ জন শিক্ষার্থী। এর পরই অবস্থান করছে চট্টগ্রাম বিভাগ। চট্টগ্রাম বিভাগে আত্মহত্যা করেছে ৮৯ জন। রাজশাহী বিভাগে ৭৭ জন, খুলনা বিভাগে ৬৪ জন, বরিশাল এবং রংপুর উভয় বিভাগেই ৪৩ জন করে। ময়মনসিংহে ৩৬ জন।

‘এ ছাড়া সিলেটে ১২ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, ঢাকা শহরে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও বেড়ে ওঠার সহায়ক পরিবেশ না থাকায় এখানে আত্মহত্যার ঘটনা বেশি ঘটছে।’

এ বিভাগের আরো খবর