বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেড় হাজার কিডনি প্রতিস্থাপন, বাংলাদেশি চিকিৎসকের রেকর্ড

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২০:৪৪

এক হাজার কিডনি প্রতিস্থাপন করতে ১৪ বছর সময় লেগেছিল এ চিকিৎসকের। তবে এরপর আরও ৫০০ কিডনি প্রতিস্থাপন করতে তার সময় লেগেছে মাত্র ২৬ মাস। বিগত ১৬ বছর ধরে বিনামূল্যে কিডনি প্রতিস্থাপন করে আসছেন মানবিক এই চিকিৎসক।

দেড় হাজার কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করে (প্রতিস্থাপন) রেকর্ড গড়েছেন বাংলাদেশি অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম। স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত এ সার্জন বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর শ্যামলীতে সেন্টার ফর কিডনি ডিজিজেস (সিকেডি) অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে ১৫০০তম কিডনি প্রতিস্থাপনের মধ্য দিয়ে এই মাইলফলক অর্জন করেন।

কামরুল ইসলাম জানান, ২০০৭ সালে সেন্টার ফর কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজিতে প্রথম কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয়। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সার্জারিতে এফসিপিএস করার পর ইউরোলোজিতে কাজ শুরু করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘তখন স্বপ্ন ছিল না যে ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জন হবো। শুরুর দিকে ভাবিওনি যে এতগুলো ট্রান্সপ্ল্যান্ট হবে। কারণ ব্যয়বহুল, সময়সাপেক্ষ এবং রোগীও অনেক কষ্ট পায়। ২০০১ সালের অক্টোবরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কিডনি ডিজিজে যোগদান করি। সে সময় ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জারিতে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে আমাকে পদায়ন করা হয়। তখন সিদ্ধান্ত নিলাম কাজটা আমাকে করতেই হবে। তারপর ভাবলাম, আমরা যদি কাজটা না করি, তাহলে কে করবে?’

তিনি আরও বলেন ‘কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টে প্রায় সাতটা পয়েন্ট আছে। যেমন: ডোনারের কাছ থেকে নেয়া, পারফিউশন, কিডনি পরিষ্কার করে সংরক্ষণ, গ্রহীতার শরীরে লাগানো ইত্যাদি। সেখানে আবার তিনটা অংশ— আর্টারি, ভেইন এবং ইউরেটার লাগানো। এগুলো বেশ সুক্ষ্ম কাজ। একটু এদিক সেদিক হলেই কিডনি ভালোভাবে কাজ করবে না। তাই কাছাকাছি সার্জারিগুলো শুরু করলাম। যেমন: কিডনিদাতার থেকে কিডনি নেয়া, স্টোন অপারেশন, অর্থাৎ যেগুলো সে সময় ওপেন ছিল। এখন তো ল্যাপরোস্কপিসহ আধুনিক পদ্ধতি এসেছে।’

এক হাজার কিডনি প্রতিস্থাপন করতে ১৪ বছর সময় লেগেছিল এ চিকিৎসকের। তবে এরপর আরও ৫০০ কিডনি প্রতিস্থাপন করতে তার সময় লেগেছে মাত্র ২৬ মাস। বিগত ১৬ বছর ধরে বিনামূল্যে কিডনি প্রতিস্থাপন করে আসছেন মানবিক এই চিকিৎসক।

কামরুল ইসলামের ১৫০০তম কিডনি গ্রহীতা রোগীর নাম মো. শহিদুল। তার বয়স ২৭ বছর। গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের পূর্ব ছিলার চর।

এ বিভাগের আরো খবর