বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনার জেএন.১ ভ্যারিয়েন্টের জন্য আলাদা টিকার প্রয়োজন নেই

  •    
  • ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২৩:২৭

এক সতর্কবার্তায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত সকল ভ্যাক্সিন করোনার নতুন এ উপধরনের বিরুদ্ধে কার্যকর বলে উল্লেখ করেছেন ডাব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ডা. ক্ষেত্রপাল। কোভিড-১৯-এর টিকা নেয়ার ব্যাপারেও জোর দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘করোনার নতুন এ ধরনটি বিশ্বব্যপি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, তবে জনস্বাস্থ্যের জন্য তেমন ঝুঁকিপূর্ণ নয়।’

বিশ্বজুড়ে আবারও বাড়তে শুরু করেছে কোভিড-১৯ তথা করোনাভাইরাসের প্রকোপ। বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাসটির নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট (উপধরন) জেএন.১। এ নিয়ে দেশে বাড়ছে উদ্বেগ। নতুন এ ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (ডাব্লিউএইচও)। এর মধ্যে দেশে করোনায় আক্রান্তের হার হঠাৎ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এটি জেএন.১-এর প্রকোপ কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সম্প্রতি এক সতর্কবার্তায় ডাব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ডা. ক্ষেত্রপাল বলেছেন, ‘শীতকালে ছুটিতে মানুষ বেশি ভ্রমণ করে। তাই ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই তাদের জন্য প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেয়া সবার আগে জরুরি।’

তিনি কোভিড-১৯-এর টিকা নেয়ার ব্যাপারেও জোর দিয়েছেন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত সকল ভ্যাক্সিন করোনার নতুন এ উপধরনের বিরুদ্ধেও কার্যকর বলে উল্লেখ করেছেন।

কোভিড-১৯-এর নমুনা পরীক্ষা এবং ফলাফল কমে এসেছে বলে উল্লেখ করে এ বিষয়ে নজরদারি বাড়িয়ে নমুনা পরীক্ষা, রিপোর্ট জমা দেয়া এবং ঠান্ডাজনিত সকল রোগের পরীক্ষা করিয়ে জনস্বাস্থ্য রক্ষার আহ্বানও জানান তিনি।

বার্তায় আরও বলা হয়, করোনার নতুন এ ধরনটি বিশ্বব্যপি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, তবে জনস্বাস্থ্যের জন্য তেমন ঝুঁকিপূর্ণ নয়।

দেশে জেএন.১ পরিস্থিতি

ইতোমধ্যে প্রতিবেশী ভারত ও চীনসহ বেশ কয়েকটি দেশে জেএন.১ শনাক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে দেশে এখনও করোনার এ ভ্যারিয়েন্টটির উপস্থিতি মিলেছে কি না- তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ (এনসিডিসি) বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জেএন.১ অনেক দেশে শনাক্ত হলেও বাংলাদেশে এসেছে কি না, সেটা পরীক্ষার ওপর নির্ভর করছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের যে পরীক্ষাগুলো চলমান ছিল, সেগুলোর কিটের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। কিট না থাকায় পরীক্ষা করা যাচ্ছে না। নতুন কিট আনা হলে পরীক্ষা করে ফলাফল অনুযায়ী নির্দেশনা দেয়া যাবে। তবে যেহেতু বিভিন্ন জায়গায় ছড়াচ্ছে, তাই বিমানবন্দর থেকে শুরু করে স্থলপথ, নৌপথ অর্থাৎ প্রবেশপথগুলোতে সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু ঠান্ডার সময় জেএন.১ ও করোনা বাড়তে পারে তাই সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।’

জেএন.১-এর জন্য কোনো টিকা আছে কি না- প্রশ্নে রোবেদ আমিন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী করোনার সব টিকাই এক্ষেত্রে কাজ করবে। যারা তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজ নেননি তারা সেটি নেবেন, আলাদা করে কোনো টিকার প্রয়োজন হবে না।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম থেকে নিউজবাংলাকে দেয়া তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের ৩ সেপ্টেম্বর তারিখে করোনা আক্রান্ত হয়ে সর্বশেষ একজনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা মোট ২৯ হাজার ৪৭৭ জন।

কন্ট্রোল রুম থেকে আরও বলা হয়, ‘আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী করোনা একেবারেই ছিল না- এমন হয়নি। কিছুদিন পর পর আক্রান্ত আমরা পেয়েছি। গত প্রায় একমাসে টানা আক্রান্ত পেয়েছি আমরা।’

এদিকে দেশে হঠাৎ করে করোনাক্রান্ত শনাক্তের হার বেড়ে ২ শতাংশের বেশিতে দাঁড়িয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সোমবার অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এর আগের ২৪ ঘণ্টায় পাওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে ১১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৬ হাজার ২১৮ জন। তবে এই সময়ের মধ্যে কারও মৃত্যু হয়নি।

অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রতি ১০০ নমুনায় শনাক্তের হার ছিল ২ দশমিক ৫১ শতাংশ।

এ বিভাগের আরো খবর