স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাপি চিকিৎসকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা এমআরসিপি (ইউকে)- পরীক্ষা বাংলাদেশেই নেয়া হবে। ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় এমআরসিপি অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। এই পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রায় ১০০০ জন প্রার্থী বর্তমানে অপেক্ষমাণ।’
মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশে এমআরসিপি (ইউকে)-পার্ট-২ পেসেস পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত একটি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসকরা এই পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করলেও সুযোগ পায় খুবই কম। বর্তমানে বাংলাদেশের নিকটবর্তী দেশ হিসেবে ভারত ও সিঙ্গাপুরে এই পরীক্ষাটিতে অংশ নেয়া যায়।
তিনি বলেন, এ ছাড়া বাংলাদেশের কাছাকাছি অন্যান্য দেশ কুয়েত, ওমান, কাতার, মিশর, মালয়েশিয়ায় এমআরসিপি-পেসেস পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে, যেগুলোতে অংশ নেয়া যায়। কিন্তু এসব দেশে পরীক্ষা যেমন ব্যয়বহুল তেমনি অংশ নেয়া কঠিন। এজন্য দেশে এই পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করায় দেশের চিকিৎসকদের অনেক সুবিধা হবে।
পরীক্ষায় অংশ নেয়া প্রার্থীদের আর্থিক ব্যয় প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এসব পরীক্ষায় অংশ নিতে প্রতি প্রার্থীকে ২-৩ লাখ টাকা করে ব্যয় করতে হয়। বাংলাদেশে এটি করা গেলে দেশের প্রার্থীদের পাশাপাশি বিদেশী শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে বাংলাদেশ আর্থিকভাবে লাভবান হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ)-এর সভাপতি ডা. মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা, শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহসহ এবং আরও অনেকে।
সভায় মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন রয়েল কলেজ অফ ফিজিশিয়ান অব এডিনবার্গ- এর ওভারসিস আঞ্চলিক উপদেষ্টা অধ্যাপক কাজী তারিকুল ইসলাম।