শিশুদের যৌন নিপীড়ন নিয়ে ভয়াবহ তথ্য উপস্থাপন করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের মাধ্যমেই শিশুরা সবচেয়ে বেশি নিপীড়নের শিকার হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। আর এ ধরনের নির্যাতনের কথা তারা কারও কাছে প্রকাশ করতেও পারে না বলে মত উপাচার্যের।
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা শিশুদের মানসিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে যা তাদের পরবর্তী জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলে।’
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কক্ষে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
ওই সময় শিশুদের অধিকার রক্ষার লক্ষ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অফ পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স ও ‘ব্রেকিং দ্যা সাইলেন্স’-এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কক্ষে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। ছবি: নিউজবাংলা
এ সমঝোতা স্বাক্ষরের ফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অফ পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সঙ্গে শিশু নির্যাতন প্রতিকার ও প্রতিরোধ, শিশু অধিকার, নারী অধিকার, যুব ক্ষমতায়ন, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, অধিকার এবং অন্যান্য সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে ‘ব্রেকিং দ্যা সাইলেন্স’-এর সঙ্গে ভবিষ্যতে গবেষণা পরিচালনা করবে।
উপাচার্য বলেন, ‘জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ অনুযায়ী, প্রত্যেক শিশুরই নির্যাতন থেকে রক্ষা পাবার অধিকার রয়েছে। দেশের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আমরা এসব বিষয়ে গবেষণা করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের শিশুরা তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া যৌন নিপীড়ন নিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলে না। তকে এ বিষয়ে গবেষণা হলে দেশে শিশু নির্যাতন প্রতিরোধের ক্ষেত্রগুলো আরও প্রশস্ত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের স্বার্থে আমরা সবার সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে চাই। আর ‘ব্রেকিং দ্যা সাইলেন্স’-এর মতো প্রতিষ্ঠান যদি আমাদের সঙ্গে এগিয়ে আসে তাতে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। সবার আগে শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সবার নৈতিক দায়িত্ব।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন ও পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুল হক, সহযোগী অধ্যাপক ফারিহা হাসিন, সহকারী অধ্যাপক ডা. মারুফ হক খান, গবেষণা সহযোগী ডা.শাহানা সুলতানা ও গবেষণা অফিসার ডা. তানজিলা বুশরা এবং ব্রেকিং দ্যা সাইলেন্স এর নির্বাহী পরিচালক রোকসানা সুলতানা, প্রোগ্রাম ও পরিকল্পনা পরিচালক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, উপ-পরিচালক মোহাম্মদ তারেকুজ্জামানসহ আরও অনেকে।