বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভিটামিন ‘ডি’: খাবারে পাওয়া না গেলেও সাপ্লিমেন্ট গ্রহণে সতর্ক হোন

প্রাকৃতিক খুব কম খাবারেই ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়। তাই খাবারের পাশাপাশি যদি শরীরে ভিটামিন ‘ডি’র চাহিদা পূরণ করতে হয় তবে নির্দিষ্ট কিছু খাবার বা ভিটামিন ‘ডি’ সাপ্লি্মেন্ট গ্রহণ করা জরুরি।

ভিটামিন ‘ডি’ এমন একটি পুষ্টি উপাদান যা আমরা খাবার হিসেবে যেমন গ্রহণ করি, তেমনি হরমোন হিসেবেও আমাদের শরীরে আপনা-আপনি তৈরি হয়। সূর্যের আলো গ্রহণ করে হরমোনোর মাধ্যমে শরীরে তৈরি হয় ভিটামিন ‘ডি’। এ কারণে এর আরেক নাম ‘দ্য সানশাইন ভিটামিন’।

ভিটামিন ‘এ’র মতো এই ভিটামিনটিও চর্বিতে দ্রবণীয় যা খাবার থেকে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষণ করে শরীরের পুষ্টির প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করে। এটি আমাদের হাড়, দাঁত ও শরীরের পেশী গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সহায়ক।

মানব শরীর যখন সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসে, আলোর প্রতিক্রিয়ায় আমাদের শরীরে প্রাকৃতিকভাবেই হরমোন হিসেবে ভিটামিন ‘ডি’ তৈরি হয়।

প্রাকৃতিক খুব কম খাবারেই ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়। তাই খাবারের পাশাপাশি যদি শরীরে ভিটামিন ‘ডি’র চাহিদা পূরণ করতে হয় তবে নির্দিষ্ট কিছু খাবার বা ভিটামিন ‘ডি’ সাপ্লি্মেন্ট গ্রহণ করা জরুরি।

যাদের ভিটামিন ‘ডি’র অভাব বেশি হয়

সাধারণত মার্চের শুরু থেকে সেপ্টেম্বর মাসের শেষ পর্যন্ত পর্যাপ্ত সূর্যের আলো শরীরে লাগানোর মাধ্যমে শরীরে ভিটামিন ‘ডি’র উৎপাদন বেশি হয়। তবে সারা বছরই সকালের মিষ্টি রোদে অন্তত ৩০ মিনিট ঘোরাঘুরি করেও দৈনন্দিন ভিটামিন ‘ডি’র চাহিদা মেটাতে পারেন।

যারা বাইরে ঘোরাঘুরি কম করেন, তাদের শরীরে এ ভিটামিনটির অভাব বেশি দেখা যায়। আবার সম্পূর্ণ শরীর ঢেকে যারা বাইরে বের হন, তাদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। তবে বাড়ির মধ্যে থেকে সকালের রোদ গায়ে লাগালে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন।

অন্যদের তুলনায় শিশু, গর্ভবতী ও বুকের দুধ পান করান এমন মায়েদের শরীরে ভিটামিন ‘ডি’র প্রয়োজনীয়তা বেশি। তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট খাবার ও ভিটামিন ‘ডি’ সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের মাধ্যমে শরীরে এ ভিটামিনের ভারসাম্য আনতে হবে।

শরীর নিজে থেকেই এই ভিটামিনটি তৈরি করলেও আরও কয়েকটি বিষয় রয়েছে যাতে শরীরে ভিটামিন ‘ডি’র ঘাটতি হতে পারে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-

  • ত্বকের রঙ
  • বয়স বৃদ্ধি
  • যাদের শরীরে চর্বি শোষণ ক্ষমতা কম
  • অতিরিক্ত ওজন
  • যাদের গ্যাস্ট্রিক বাইপাসের অপারেশন হয়েছে

ভিটামিন ‘ডি’র অভাবজনিত লক্ষণ

হাইপোক্যালসেমিয়া, ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগ ও হাইপার প্যারাথাইরয়েডিজমের কারণ হতে পারে ভিটামিন ‘ডি’র দীর্ঘস্থায়ী ঘাটতি।

চলুন জেনে নেই কোন কোন লক্ষণ দেখে বোঝা যাবে আপনার শরীরে ভিটামিন ‘ডি’র অভাব রয়েছে-

  • হাড়ক্ষয় রোগ (বিশেষ করে বয়স্কদের ক্ষেত্রে)
  • অস্টিওপরোসিস
  • ক্লান্তি
  • পেশীর টান
  • পেশীর দুর্বলতা
  • পেশীতে ব্যাথা
  • আর্থ্রালজিয়াস বা জয়েন্টের জড়তা
  • স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা
  • বিভিন্ন সংক্রামক রোগ
  • গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন জটিলতা
  • স্তন, প্রোস্টেট ও কোলনসহ অন্যান্য ক্যান্সার

বেশি ভিটামিন ‘ডি’ গ্রহণের ফল

শরীরের জন্য অবশ্যই ভিটামিন ভিটামিন ‘ডি’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে সাপ্লিমেন্টের মাধ্যমে অতিরিক্ত ভিটামিন ‘ডি’ গ্রহণ করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

অতিরিক্ত ভিটামিন ‘ডি’র ফলে শরীরে তৈরি হতে পারে বিষক্রিয়া। এর ফলে দেখা দিতে পারে ক্ষুধামন্দা, ওজন হ্রাস, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, শরীরে রক্তনালীর সমস্যার মতো শারীরিক জটিলতা।

আবার অনেকদিন ধরে ভিটামিন ‘ডি’ সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম জমা হতে পারে। এতে হাড়, কিডনি ও হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।

একজন সাধারণ মানুষের শরীরে প্রতিদিন ১০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ‘ডি’ই যথেষ্ট। তবে এর অন্যথা হলে চিকিৎকের পরমর্শ না নিয়ে কোনোভাবেই ‘ডি’ সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা উচিৎ নয়।

তবে বলে রাখা ভালো, বেশি সূর্যের আলো শরীরে লাগলেও শরীরের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ভিটামিন ‘ডি’ উৎপন্ন হয় না। তাই যারা রোদে কাজ করেন, তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

যেসব খাবারে পাবেন ভিটামিন ‘ডি’

প্রকৃতিতে খুব কম খাবারেই ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়। তবে তেলযুক্ত মাছ, লাল মাংস, কলিজা, ডিমের কুসুম, কিছু প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন: সিরিয়াল জাতীয় খাবার, কমলার জুস ও টুনা মাছে সল্প পরিমাণে ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়।

এ বিভাগের আরো খবর