বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডেঙ্গু রোগী ঢাকায় না পাঠানোর নির্দেশনা, আরও ১৮ মৃত্যু

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২০:৩৯

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলেন, ‘চিকিৎসা ব্যবস্থা সরেজমিন পরিদর্শনে সোমবার থেকে সারা দেশে ফের অভিযান চালানো হবে। প্রতিটি হাসপাতালে র‌্যাপিড রেসপন্স টিম গঠনে সিভিল সার্জনদের নির্দেশনা দিয়েছি। যেসব রোগীর অবস্থা অপেক্ষাকৃত খারাপ, তাদের প্রতিনিয়ত মনিটরিং করবে এই টিম। রোগীর অবস্থা যাতে আরও খারাপ না হয় এবং এরকম কোনো রোগীকে যেন ঢাকার দিকে পাঠানো না হয় সে নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।’

চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। এরপর থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ক্রমশ বেড়ে চলেছে। প্রকোপটা রাজধানী ঢাকায় শুরু হলেও ক্রমে তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। একইসঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮২২জন। আর রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী এই ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ১২২ জন ডেঙ্গু রোগী।

আক্রান্ত বিপুলসংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতালগুলোকে। রোগীরাও হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে হরেক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোর ডেঙ্গু ইউনিটে শয্যা খালি নেই। স্যালাইনের পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই। বাইরে ওষুধের দোকানগুলোতেও মিলছে না স্যালাইন। যাও বা দু-একটা দোকানে মিলছে, দাম নিচ্ছে ৫ থেকে ৬ গুণ বেশি।

এ অবস্থায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে ঢাকায় না পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ নির্দেশনার কথা জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির। একইসঙ্গে জানানো হয়, চিকিৎসা ব্যবস্থা সরেজমিন পরিদর্শনে সোমবার থেকে সারা দেশে আবারও অভিযান পরিচালনা করবে অধিদপ্তর।

আহমেদুল কবির বলেন, ‘ডেঙ্গুর এই ক্রান্তিকালে আমরা এই অভিযান আরও জোরদার করব। প্রতিটি হাসপাতালে র‌্যাপিড রেসপন্স টিম তৈরির জন্য আমরা সব সিভিল সার্জনকে নির্দেশনা দিয়েছি। যেসব রোগীর অবস্থা অপেক্ষাকৃত খারাপ, তাদের প্রতিনিয়ত মনিটরিং করবে এই টিম। রোগীর অবস্থা যাতে আরও খারাপ না হয় এবং এরকম কোনো রোগীকে যেন ঢাকার দিকে পাঠানো না হয় সে নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সিভিল সার্জনদের বলা হয়েছে একটি করে সমন্বয় টিম করার জন্য। সিভিল সার্জন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং লোকাল ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে অভিযান চালানোর জন্য বলা হয়েছে।

‘পরিদর্শন টিম যেসব ফার্মেসি কিংবা ক্লিনিক স্যালাইন মজুত করেছে, সেগুলোকে চিহ্নিত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে। এছাড়া অবৈধ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও অনুপযুক্ত আইসিইউ যাদের আছে, তাদের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে আবার অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

এর আগে ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একইসঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।

তার আগের বছর ২০২১ সালে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ১০৫ জনের। আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ২৮ হাজার ৪২৯।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক লাখ ৬৭ হাজার ৬৮৪ জন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৭৩ হাজার ২৩৩ ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ৯৪ হাজার ৪৫১ জন ভর্তি হয়েছেন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪২৫ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৬৮ হাজার ৬০৩ ও ঢাকার বাইরের ৮৭ হাজার ৮২২ জন।

এ বিভাগের আরো খবর