ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রকোপকে পুঁজি করে দেশ জুড়ে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী স্যালাইনের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাড়তি ফায়দা লুটছে। এই অপতৎপরতা রোধে অভিযানে নেমেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সংকেট দাম বৃদ্ধির অজুহাতে নারায়ণগঞ্জে ৮৭ টাকার স্যালাইন বিক্রি করা হয়েছে ৩০০ টাকায়। ঘটনা ধরা পড়ায় সংশ্লিষ্ট দোকানিকে জরিমানাও গুনতে হয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালান। অতিরিক্ত দামে ডিএনএস স্যালাইন বিক্রির অভিযোগ পেয়ে এই অভিযান চালানো হয়।
এ সময় সদর জেনারেল হাসপাতালে সামনে ৮৭ টাকার স্যালাইন ৩০০ টাকায় বিক্রি করায় ‘ফার্মেসী পয়েন্ট’ নামে একটি ওষুধের দোকানিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জের সহকারী পরিচালক সেলিমুজ্জামান জানান, অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশে বৃহস্পতিবার সারাদেশের ফার্মেসিগুলোতে অভিযান চালানো হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে সদর জেনারেল হাসপাতালের সামনে ওষুধের দোকান মনিটরিং করার সময় ৮৭ টাকার স্যালাইন ৩০০ টাকায় বিক্রি করায় ‘ফার্মেসী পয়েন্ট’ নামের একটি ওষুধের দোকানিকে জরিমানা করা হয়।
এদিকে সারাদেশের মতো কুমিল্লায়ও প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে স্যালাইনের চাহিদাও। রোগীর স্বজনরা দোকানে স্যালাইন কিনতে গিয়ে পড়ছেন ভোগান্তিতে। ঘুরছেন দোকান থেকে দোকানে। অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি দাম পেলে স্যালাইন তুলে দিচ্ছেন রোগীর স্বজনদের হাতে।
দোকানিরা বলছেন, তারা চাহিদা অনুযায়ী স্যালাইনের সরবরাহ পাচ্ছেন না। অন্য উপায়ে সংগ্রহ করতে গিয়ে তাদেরকে বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। ফলে বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সারা দেশের মতো এখানেও বৃহস্পতিবার অভিযান চালায়। এ সময় স্যালাইন লুকিয়ে রাখা ও বেশি দামে বিক্রির অভিযোগে কুমিল্লা সদরের পাঁচটি ফার্মেসিকে জরিমানা করেন ভোক্তা অধিকার কুমিল্লার সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম।
এ সময় অভিযানে জব্দ করা কিছু স্যালাইন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
আছাদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে বেশ কিছু ফার্মেসিতে অভিযান চালিয়েছি৷ পাঁচটি ফার্মেসিকে স্যালাইন লুকিয়ে রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির দায়ে ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া কিছু স্যালাইন জব্দ করা হয়েছে, যা পরে ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়।’
জেলা সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার জানান, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে স্যালাইন সংকট নেই। তবে বাইরে দোকানগুলোতে ভিএনএস স্যালাইনের কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হচ্ছে।