গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২ হাজার ২০১ জন। এ সময়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ৮ জনের। নিহতদের মধ্যে ছয়জন রাজধানী ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বাকি দুজন রাজধানীর বাইরের হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৮ টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ২০১ জন। তাদের মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯২৬ জন। ঢাকা বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ২৭৫ জন।
অধিদপ্তর জানায়, নতুন রোগী নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৬৩০ জন। তাদের মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫১ হাজার ৯৫৩ জন আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬ হাজার ৬৭৭ জন। ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১ লাখ ১৭৪ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭ হাজার ৯৪২ জন। দেশে ডেঙ্গু ইতিহাসে এর আগে সবচেয়ে বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ২০১৯ সালে। সে বছর সরকার ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন রোগীর কথা জানায়। গত ২১ আগস্ট রেকর্ড ভেঙে চলতি বছরে সর্বোচ্চ রোগীর কথা জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আর ৮ জনের। তাদের মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৬ জন আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ২ জন। তাদের নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হলো ৫১৪ জনের। তাদের মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৩৮০ জন। ঢাকা মহানগরের বাইরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ১৩৪ জন।
এর আগে ২০২২ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল। সে বছরে ২৮১ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়। তবে গত ৩ আগস্ট সে রেকর্ড ভেঙে যায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মাসে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬ হাজার ৭৯৮ জন। মোট রোগীর অর্ধেকেরও বেশি শনাক্ত হয়েছেন চলতি আগস্ট মাসে। আর এ সময়ে মৃত্যু হয়েছে ২৬৩ জনের।
এর আগে জুলাই মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন, আর মৃত্যু হয়েছিল ২০৪ জনের। জুন মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পাঁচ হাজার ৯৫৬ জন। সে সময় মারা যান ৩৪ জন। বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন, এপ্রিলে ১৪৩ জন এবং মে মাসে এক হাজার ৩৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। মারা যান জানুয়ারিতে ছয়জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন এবং এপ্রিল ও মে মাসে দুজন করে। দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ নজরে আসে ২০০০ সালে।