বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুক্তরাষ্ট্রে করোনার শক্তিশালী নতুন ধরন শনাক্ত

গবেষকদের আশঙ্কা, নতুন এ ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে, এমনকি করোনার নতুন ঢেউও আছড়ে পড়তে পারে।

কোভিড-১৯-এর নতুন এক শক্তিশালী ধরন শনাক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় রোগ নিরাময় ও প্রতিরোধ সংস্থা (সিডিসি)। তবে এর প্রভাব নিয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেনি সিডিসি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

নতুন শনাক্ত হওয়া ধরনটির নাম দেয়া হয়েছে বিএ.২.৮৬। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয় ডেনমার্ক ও ইসরায়েলেও এ ধরনটি শনাক্ত হয়েছে বলে এক টুইট পোস্টে জানিয়েছে সিডিসি।

ওই পোস্টে সংস্থাটি বলেছে, ‘কোভিডের নতুন ধরন শনাক্ত হলেও এ ভাইরাস থেকে নিজেকে রক্ষা করতে সিডিসির পূর্বের নিয়মগুলোই মানতেই পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।’

করোনার নতুন এ ধরন নিয়ে টুইট করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। তারা বলছে, ‘যেহেতু এ ধরনটি এখনও পরিবর্তিত হয়ে চলেছে, তাই এটিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

‘তবে আশার কথা হচ্ছে, এখন পর্যন্ত খুব বেশি দেশে নতুন এ ধরনটি শনাক্ত হয়নি।’

যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টন মেথোডিস্ট-এর ডায়াগনস্টিক মাইক্রোবায়োলজির পরিচালক এস ওয়েসলি লং জানিয়েছেন, বর্তমানে সবচেয়ে প্রভাশালী ভ্যারিয়েন্ট এক্সএক্সবি.১.৫ পরিবর্তন হয়ে এই নতুন ভ্যারিয়েন্টটি জন্ম নিয়েছে। এটির অন্তত ৩৬টির মতো বিকল্প পরিবর্তন হচ্ছে, যেগুলো নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টের সৃষ্টি করতে পারে।

করোনা থেকে সুরক্ষায় এখন পর্যন্ত মানবদেহে প্রয়োগ করা টিকাগুলো এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকে থাকতে পারবে কি না, তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ড. লং।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা হচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে প্রভাব বিস্তার করা ভ্যারিয়েন্টগুলোর চেয়ে বেশি সংক্রামক হতে পারে নতুন এ ভ্যারিয়েন্টটি।’

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রেড হাচ ক্যান্সার সেন্টারের ভাইরোলজিস্ট জেসি ব্লুম এ বিষয়ে বলেন, ‘ওমিক্রন ও তার পূর্ববর্তী ভ্যারিয়েন্টগুলোর সমান বা তার থেকেও শক্তিশালী হবে নতুন এ ভ্যারিয়েন্ট।’

জেনে রাখা ভালো, ওমিক্রন প্রতিরোধের সক্ষমতা দিয়ে আসন্ন বুস্টার ডোজ তৈরি করা হয়েছে।

কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনে নতুন করে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। তখন থেকেই কোন ভ্যারিয়েন্ট থেকে এই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, এ নিয়ে গবেষণা শুরু করেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণায় নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিষয়টি ধরা পড়ে।

গত ২৪ জুলাই প্রথম বিএ.২.৮৬ ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান পাওয়া যায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, নতুন এই ধরনের মাত্র চারটি পরিচিত স্টেজ বা ধাপ রয়েছে, এতটুকুই জানা গেছে। বাকি সবকিছু এখনও অজানা।

গবেষকদের আশঙ্কা, এই ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে, এমনকি করোনার নতুন ঢেউও আছড়ে পড়তে পারে।

এ বিভাগের আরো খবর