স্তন ক্যানসারের প্রসঙ্গ উঠলেই অনেকে ভাবেন, এতো মেয়েদের রোগ! তবে বাস্তবতা তা নয়।
প্রবণতাটা নারীদের মাঝে বেশি দেখা গেলেও এটি শুধুই নারীদের অসুখ নয়। এ রোগ পুরুষদের শরীরেও বাসা বাঁধে। কিন্তু সচেতনতার অভাবে অনেক সময় এর বিভিন্ন উপসর্গ এড়িয়ে যান পুরুষরা। আর এজন্য চিকিৎসা নেয়ার ক্ষেত্রে দেরি হয়ে যায়।
বিভিন্ন গবেষণার তথ্য ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারীদের শরীরে সাধারণত স্তনের টিস্যুর পরিমাণ থাকে বেশি। তাই এ রোগে নারীরা আক্রান্ত হন বেশি। আর পুরুষদের শরীরে স্তনের টিস্যুর পরিমাণ কমথাকায় এ রোগে তারা আক্রান্ত হন কম। তবে পুরুষের শরীরে এ রোগ দেখা দেয়াটা অস্বাভাবিক নয়।
যে পরিমাণ স্তন ক্যানসারের ঘটনা সারা পৃথিবীতে ধরা পড়ে, তার প্রায় এক শতাংশ পুরুষদের দেহে দেখা যায়। তবে এই এক শতাংশের ক্ষেত্রেও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে এই ক্যানসার। ফলে প্রথম থেকেই সাবধান হওয়া দরকার।
কেন হয় স্তন ক্যানসার
স্তন ক্যানসার মূলত একটি জিনগত রোগ। পুরুষদের এ রোগ হওয়ার কিছু সাধারণ কারণ উল্লেখ করা যায়।
- বয়স (সাধারণত বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ রোগের আশঙ্কা বাড়ে পুরুষদের। পঞ্চাশোর্ধ্ব পুরুষদের স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি)
- অতিরিক্ত এলকোহল সেবন
- স্থুলতা
- পরিবারে স্তন ক্যানসার রোগীর ইতিহাস
উপসর্গ
কী কী উপসর্গ দেখলে সচেতন হতে হবে তা জানা থাকলে অনেকাংশেই চিকিৎসা নেয়া সহজ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) সংস্থার গবেষণা তথ্য বলছে, পুরুষদের স্তন ক্যানসারের কিছু সাধারণ উপসর্গ রয়েছে।
- স্তনের আশপাশে ব্যথা
- স্তনে ফোলা ফোলা ভাব
- স্তনে ঘা
- স্তনের চারপাশে লালচে ভাব
- স্তনবৃন্ত থেকে পুঁজ বা পুঁজের মতো তরল পদার্থ নির্গমন
- স্তনবৃন্ত ভেতরের দিকে দেবে যাওয়া
এসব উপসর্গের একটি বা একাধিক দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সচেতন হতে কী করতে পারেন
মনে যদি কোনো কারণে শঙ্কা তৈরি হয়, দেরি না করে প্রথমেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে আপনাকে। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে স্তন ক্যানসারের পরীক্ষা ও চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে।