ওজন কমাতে চান? কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও মন মতো ফল পাচ্ছেন না? নিয়ম মেনে ডায়েট, শরীরচর্চাসহ সব উপায়ই অবলম্বন করেও কেন কোনো ফল পাচ্ছেন না- ভেবে কী মনে মনে ভেঙে পড়ছেন?
আসলে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কড়া নিয়মের ফাঁক গলেও হয়ে যায় ছোট ছোট কিছু ভুল। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খাওয়া-দাওয়ার বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে সকালের নাশতার উপর নির্ভর করছে ওজন কত দ্রুত কমবে আপনার।
এখানেই কিছু ভুল করে ফেলেন অনেকেই। ভুলগুলি আসলে কী, চলুন জেনে নেই-
সকালের নাশতা না করা
ঘুম থেকে উঠেই অফিসে যাওয়ার তাড়া, বাড়ির কাজসহ বিভিন্ন চিন্তা মিলিয়ে সকালটা বেশ ব্যস্ততার মধ্যেই কাটে প্রায় সবার। তাড়াহুড়া করে সকালের নাশতা না খেয়েই বা সামান্য খেয়েই দৈনন্দিন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন অনেকে।
ওজন কমাতে চাইলে এ অভ্যাস দ্রুত বন্ধ করা জরুরি। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সকালে পেট ভরে খাওয়া জরুরি বলে বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায়। তাই নাশতা করুন পেট পুরে।
দেরি করে নাশতা করা
সকালে ঘুম থেকেই উঠেই হঠাৎ অফিসের তলব। তাড়াতাড়ি অফিসে ঢুকতে হবে, দৌঁড়ালেন অফিসে। কিংবা পরিবারের সবাইকে নাশতা করিয়ে বিদায় দিলেন। সব কাজ যখন শেষ, খিদেয় তখন পেটে ইঁদুর দৌঁড়াচ্ছে জোরেসোরে।
খেলেনও পেট ভরে। এতে হয়ত ক্ষুধা মিটবে ঠিকই, তবে সকাল থেকে খালি পেটে থেকে দেরি করে খাওয়ার অভ্যাস করলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে না আপনার ওজন।
প্রোটিন কম খাওয়া
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে একটি বড় বিষয় হল প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়া। অনেক গবেষণা থেকেই জানা যায়, প্রোটিন জাতীয় খাবার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করার পাশাপাশি পেট ভরাও রাখে অনেক্ষণ। যার ফলে অপ্রয়োজনীয় খাবার খাওয়া থেকে বেঁচে যাবেন আপনি।
তাই সকালের নাশতায় রাখুন প্রোটিনে ভরপুর কিছু আইটেম। দিনের শুরুতেই বেশি করে প্রোটিন শরীরে চলে গেলে ওজন বেড়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তা করতে হবে না আর।
এ তিনটি নিয়ম মেনে দেখুন, দেখবেন আপনার শারীরিক ফিটনেসে পরিবর্তন আসছে দ্রুত। তাই বলে আবার অন্য সব নিয়ম ছেড়ে দিলে চলবে না কিন্তু!